আজকাল ওয়েব ডেস্কঃ নাভি শুধুমাত্র গর্ভস্থ শিশুর জন্য নয়, প্রাপ্তবয়স্কদের ক্ষেত্রেও এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। তাই পেটের কোনও সমস্যা হলে ঘরোয়া টোটকা হিসেবে নাভিতে তেল-জল মালিশ করতে বলা হয়। নাভিতে তেল মালিশ করা অতি প্রাচীন এক উপশমের উপায়।পেটের এই অংশটি আসলে শরীরের নানা রক্তবাহক নালীর সঙ্গে যুক্ত। নাভিতে সাধারণত নারকেল তেলই দেওয়া হয়। অনেকে আবার ঘি কিংবা কাঠবাদামের তেলও ব্যবহার করেন। জানেন কি, নাভিতে বিভিন্ন ধরণের তেল মালিশ করলে উপকারও মেলে প্রচুর।
নাভিতে কয়েক ফোঁটা নিম তেল ব্যবহার করুন।এর অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল উপাদান ত্বকের নানা ধরনের ইনফেকশন, ব্রণ ও ত্বকের চুলকানি জ্বালাপোড়াকে কমাতে সাহায্য করে। শরীরকে ডিটক্সিফাই করতেও সাহায্য করে।
নাভিতে কয়েক ফোঁটা নারকেল তেল মালিশ করলে হজমের গোলমালে অনেক উপকার মিলবে। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় আরাম মেলে, পেট ফাঁপা ও বদহজমের জন্য নাভিতে নারকেল তেল দিলে ম্যাজিকের মতো কাজ করে।শরীরকে হাইড্রেট রাখতেও সাহায্য করে।
ত্বকের উজ্জ্বলতা ও গঠনগত উন্নতির জন্য নাভিতে দিন। শুধুমাত্র ত্বকের যত্নে নয়, ভিটামিন ই তে সমৃদ্ধ এই তেল ডার্ক সার্কেল দূর করতে এবং মস্তিষ্কের রক্তচলাচলও উন্নত করে।
শীতকালে শুধু হাতে বা পায়ের তলায় নয়, নাভিতে সরষের তেল দিলে শরীরকে উষ্ণ রাখে। জয়েন্টের ব্যথাকে দূর করে এবং হজম ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে।
প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ হওয়ায় অলিভ অয়েল নাভিতে দিলে ত্বককে আদ্র ও সুস্থ রাখে। বয়সের ছাপকে ত্বকের উপর পড়তে দেয় না। এমনকি কার্ডিওভাস্কুলারের কাজকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে সাহায্য করে এই তেল।
পিরিয়ড ক্র্যাম্পকে ম্যাজিকের মতো গায়েব করতে পারে ক্যাস্টর অয়েল।মুঠো মুঠো পেইনকিলার না খেয়ে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে তিন ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল হালকাভাবে নাভিতে ম্যাসাজ করুন। হজম ক্ষমতাকে মজবুত করে, ব্যথার উপশম হয় ও কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রক্ষা করে। তাছাড়া ঘি দিয়ে ম্যাসাজ করলে শরীরের ভেতরে হওয়া ইনফেকশনকে নির্মূল করে।হজম ক্ষমতাকেও শক্তিশালী করে।
