আজকাল ওয়েবডেস্কঃ পাকা হোক বা কাঁচা, পেঁপে শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি। পেটের নানা সমস্যার সমাধান করতে পারে এটি। তাই সারা বছরই পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন অনেকে। কিন্তু পেঁপের পাতাও যে সমানভাবে উপকারি তা কিন্তু অনেকেরই অজানা।

পেঁপে পাতারও আছে বহু গুণ। তবে পেঁপে পাতা কীভাবে খাওয়া যায়, সেটি গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ম মেনে খেলে, বহু ধরনের রোগ সেরে যায় বা প্রতিহত হতে পারে। পেঁপে পাতায় কিছু জীবাণু থাকতে পারে। তাই প্রথমে অল্প কিছুক্ষণ ফুটিয়ে নিতে হবে এই পাতা। জল থেকে তুলে ব্লেন্ডারে দিয়ে রস করে নিন। ছেঁকে খেতে পারেন। আগেকার যুগের মতো থেঁতো করে বানিয়েও খাওয়া যায়। 

পেঁপে পাতার রস গ্যাস, পেট ফোলাভাব এবং বুকজ্বালা-সহ নানা ধরনের পেটের সমস্যা কমাতে পারে। এছাড়াও, পেঁপে পাতায় ফাইবার এবং প্যাপেইন নামক উপাদান রয়েছে। এটি হজমের উন্নতিতে সাহায্য করে। তাজা পেঁপে পাতার নির্যাস অন্ত্রের নানা ধরনের সংক্রমণ কমাতে সাহায্য করে। বিশেষ করে ডেঙ্গি জাতীয় অসুখে ক্ষেত্রে যে ধরনের সমস্যা হয়, সেগুলি আটকাতে দারুণ কাজ করে পেঁপে পাতার রস। জ্বর, ক্লান্তি, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব, বমি এবং ত্বকের প্রদাহের মতো উপসর্গগুলিকেও নিয়ন্ত্রণ করে এই রস। এমনকী যখন রক্তে প্লেটলেটের মাত্রা কম যায়, তখন পেঁপে পাতার রস খেলে প্লেটলেটের মাত্রা বাড়তে পারে।

শরীরের ভিতরের এবং বাইরের প্রদাহ কমাতে দারুণ সাহায্য করে পেঁপে পাতার রস। যাঁদের গাঁটে ব্যথার মতো সমস্যা আছে, তাঁরা যদি নিয়মিত পেঁপে পাতার রস খান, তাহলে কমে যেতে পারে এই ব্যথা। পেঁপে পাতার বেশ কিছু উপাদান ক্যান্সারের কোষের বৃদ্ধি আটকাতে পারে বলে মনে করেন অনেকে। বিশেষ করে প্রস্টেট এবং স্তনের ক্যান্সারের ক্ষেত্রে এই রস দারুণ কাজ করতে পারে বলে অনেকেরই মত। 

পেঁপে পাতা হল ডায়েটারি ফাইবারের সমৃদ্ধ উৎস। ফাইবার ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। শীতকালে ওজন বেড়ে যাওয়ার ঝুঁকি থাকে। তাই ছিপছিপে থাকতে ভরসা রাখা যায় এই পাতায়। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা ছা়ড়াও পেঁপে পাতায় থাকা ফাইবার কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর করে। ভোজনরসিক বাঙালি পেটের সমস্যা হলেই ভরসা রাখে ওষুধে। তবে শীতকালে এই ধরনের ওষুধ যত কম খাওয়া যায়, ততই ভাল বলে মনে করেন চিকিৎসকেরা। ঠান্ডায় পেটের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে বরং ভরসা হতে পারে পেঁপে পাতা। পেটের গোলমাল কমাতে পেঁপে পাতার জুড়ি মেলা ভার।