ঘুম অত্যন্ত প্রয়োজনীয় একটি শারীরবৃত্তীয় ক্রিয়া। সুস্থতার জন্য প্রতিদিন ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম গুরুত্বপূর্ণ। বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি কমায় ভাল মানের ঘুম। কিন্তু জানেন কি পুরুষ না মহিলা কে বেশি ঘুমায়? গবেষণায় মিলেছে অবাক করা সেই তথ্য।  

মহিলারা পুরুষদের তুলনায় বেশি ঘুমান, এমনই প্রচলিত ধারণা রয়েছে। যদিও এই তথ্যকে সত্য বলে বিশ্বাস করেন না সকলে। অনেকের মতে, এটি সম্পূর্ণই গুজব। কিন্তু সত্যি কি পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেশি ঘুমের প্রয়োজন হয়? গবেষণায় দেখা গিয়েছে, মহিলাদের প্রতিদিন কমপক্ষে ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ভাল ঘুম হওয়া জরুরি। আসলে বিভিন্ন বয়সে মহিলাদের শরীরে বিভিন্ন রকম পরিবর্তন হয়। তাই সেই পরিস্থিতিতে সুস্থ থাকার জন্যই প্রয়োজন ঘুম।

আরও পড়ুনঃ হার্টের বন্ধু, ঝুঁকি কমায় ক্যানসারের! নিয়মিত এই ফল খেলেই হারাবেন না রূপ-যৌবন

একইসঙ্গে পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের দৈনন্দিন জীবনে বেশি চাপ এবং উদ্বেগ থাকে। সবকিছুর সঙ্গে মোকাবিলা করে সুস্থ জীবনযাপনের জন্য পর্যাপ্ত ঘুম দরকার। তাই পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের বেশি ঘুমের প্রয়োজন বলেই গবেষণায় বলা হয়েছে। শুধু ঘুমই নয়, ভাল মানের ঘুমও জরুরি।

প্রাথমিক কয়েকটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, জৈবিক গঠন অনুসারে পুরুষ এবং মহিলাদের ঘুমের প্রয়োজনীয়তার সামান্য পরিবর্তন থাকতে পারে। এছাড়া ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ঘুম অনেক বেশি সজাগ। তুলনায় ছেলেদের মধ্যে গভীর ঘুমের প্রবণতা আছে। মেয়েদের ঘুম খুব পাতলা হয়। ফলে সময় পেলেও বিভিন্ন কারণে ভেঙে যায়। অনেক মহিলারা যেহেতু ঘর এবং বাইরে দু'দিকে সামলাতে হয়, ফলে মানসিক চাপ সব সময়ে কাজ করে। নিশ্চিন্তে ঘুমানোর সুযোগ কম থাকে।


প্রাপ্তবয়স্কদের সাধারণত প্রতি রাতে ৭-৯ ঘন্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। যদিও বয়সের সঙ্গে ঘুমের চাহিদা কিছুটা কমতে পারে। তা সত্ত্বেও বয়স্কপ্রাপ্তবয়স্কদেরও প্রতি রাতে প্রায় অন্তত ৭ ঘণ্টা ঘুমানোর চেষ্টা করা উচিত।

প্রসঙ্গত, আজকাল কৈশোর থেকে পড়াশোনা, কাজের চাপে ঘুমের পরিমাণ অনেকটাই কমে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বেশি রাত করে হলেও অর্থাৎ 'স্লিপ সাইকেল' যাই হোক না কেন, নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুমোনো খুবই জরুরি। সঙ্গে সারা সপ্তাহ ঠিকঠাক না ঘুমিয়ে ছুটির দিনে ঘুম পুষিয়ে নেওয়ার চিন্তাও ঠিক নয়।