আজকাল ওয়েবডেস্ক: নারীর ভয়ে ৫৫ বছর ঘরবন্দি! আজব আতঙ্কে জীবন কাটাচ্ছিলেন এক ব্যক্তি। শেষ পর্যন্ত তাঁকে বাঁচাতে সাহায্য করছেন মহিলারাই। ঘটনাটি ঘটেছে আফ্রিকার দেশ রুয়ান্ডাতে।
বয়স যখন মাত্র ১৬, তখন থেকেই এক অদ্ভুত সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রুয়ান্ডার বাসিন্দা ক্যালিক্সট জামউইটা। যে বয়সে কিশোর মন বাইরের পৃথিবীকে জানতে চায়, সেই বয়সেই তিনি নারীদের থেকে নিজেকে সম্পূর্ণ দূরে রাখতে স্বেচ্ছায় গৃহবন্দি হন। সেই থেকে কেটে গিয়েছে ৫৫টি বছর, আজও তিনি চার দেওয়ালের আড়ালেই জীবন কাটান।
মহিলাদের এতটাই ভয় পান যে নিজের বাড়ির চারপাশে উঁচু বেড়া তৈরি করেছেন, যাতে কোনও নারী তাঁর কাছাকাছিও আসতে না পারেন। জামউইটা নিজেই বলেন, “মহিলারা যাতে আমার কাছে ঘেঁষতে না পারেন, তার জন্য আমি নিজেকে ঘরের মধ্যে আটকে রেখে বাড়ির চারপাশে বেড়া দিয়ে দিয়েছি।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, তাঁর এই তীব্র আতঙ্ক আসলে ‘গাইনোফোবিয়া’ নামক একটি মানসিক অবস্থা। এই অবস্থায় কোনও একটি বিশেষ লিঙ্গের মানুষের প্রতি ভয় জন্মায় রোগীর।
তবে আশ্চর্যের বিষয় হল, যাঁদের থেকে বাঁচতে তাঁর এত আয়োজন, সেই মহিলারাই তাঁকে বাঁচিয়ে রেখেছেন। যেহেতু তিনি কারও সঙ্গে কথা বলেন না বা বাড়ির বাইরে পা রাখেন না, তাই গ্রামের মহিলারাই তাঁর প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বাড়ির ভেতর ছুঁড়ে দিয়ে যান। এভাবেই দিনের পর দিন তাঁর খাবার ও অন্যান্য রসদ জোগান তাঁরা।
এই বিচ্ছিন্ন জীবন নিয়ে অবশ্য তাঁর কোনও আক্ষেপ নেই। জামউইটার কথায়, “এই জীবনটাই আমার জন্য ঠিক আছে। আমি কখনও কোনও সঙ্গিনীর কথা ভাবিনি এবং এই জীবন নিয়ে আমি খুবই খুশি।”
