আজকাল ওয়েবডেস্ক: ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরের জন্য খুবই দরকারি একটা খনিজ পদার্থ। এটা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে বিভিন্ন ভাবে সাহায্য করে, যেমন- আমাদের শরীরে শক্তি তৈরি করতে, পেশী আর স্নায়ুগুলোকে ঠিকঠাক কাজ করাতে, রক্তে শর্করার মাত্রা  আর রক্তচাপ ঠিক রাখতে, এবং হাড়কে শক্ত করতে। এক কথায় বললে, ম্যাগনেসিয়াম আমাদের শরীরের এমন অনেক গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে, যা আমাদের সুস্থ জীবন যাপনের জন্য খুবই জরুরি। কিন্তু ম্যাগনেসিয়াম তো আমাদের দেহে তৈরি হয় না। তাই খাবারের মাধ্যমেই ম্যাগনেসিয়াম গ্রহণ করতে হয়। দৈনিক একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ৩৬০ মিলিগ্রাম থেকে ৪২০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম দরকার। দেখে নেওয়া যাক কোন কোন খাবার খেলে দেহে ম্যাগনেসিয়ামের পরিমাণ বাড়তে পারে।

ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ: কিছু খাবার প্রাকৃতিকভাবে ম্যাগনেসিয়ামের ভাল উৎস এবং এগুলো নিয়মিত খাদ্যতালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে শরীরে ম্যাগনেসিয়ামের সরবরাহ বৃদ্ধি পায়।

১। সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, বাঁধাকপি, শস্য এবং অন্যান্য সবুজ শাকসবজি ম্যাগনেসিয়ামের চমৎকার উৎস।  এগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম থাকে এবং এগুলো সহজপাচ্য। এছাড়াও পালং শাক ফোলেটের একটি চমৎকার উৎস যা গর্ভাবস্থায় খুবই কার্যকর। বর্তমানে অ্যাভোকাডো অনেকের কাছেই খুব জনপ্রিয়। এই খাবারটিতেও প্রচুর ম্যাগনেসিয়াম পাওয়া যায়। একটি মাঝারি মাপের অ্যাভোকাডোতে ৫৮ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে।

২। বাদাম এবং বীজ: কাঠবাদাম, কাজুবাদাম, চিনাবাদাম, কুমড়োর বীজ, সূর্যমুখীর বীজ এবং তিলের বীজ ম্যাগনেসিয়ামের খুব ভাল উৎস। এগুলো শুধু ম্যাগনেসিয়ামেই ভরপুর নয়, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট এবং ফাইবারেও সমৃদ্ধ, যা ম্যাগনেসিয়ামের শোষণ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। বাদাম রক্তচাপ, পেশীর খিঁচুনি এবং পেশীর ক্র্যাম্প নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। উদাহরণ হিসাবে বলা যায় ৩০ গ্রাম কুমড়োর বীজে ১৫৯ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে।
আরও পড়ুন: নিজে অক্ষম, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশীকে ভাড়া করলেন যুবক, ৭২ বার চেষ্টার পর কী হল ফলাফল?

৩। শস্য: কুইনোয়া, ওটস, ব্রাউন রাইস এবং যব - এই শস্যগুলোতে ম্যাগনেসিয়াম এবং ফাইবার দুই-ই থাকে। ফাইবার হজম প্রক্রিয়াকে সঠিক রাখতে সাহায্য করে এবং খনিজ পদার্থ শোষণ করতে সাহায্য করে। আধাকাপ ব্রাউন রাইসে ৭২ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ম্যাগনেসিয়াম থাকতে পারে। 

৪। লেগুম বা শিম্বি জাতীয় খাবার: মটরশুঁটি, মটর, মসুর ডাল, ছোলা এবং কিডনি বিনস - এগুলো ম্যাগনেসিয়াম এবং প্রোটিনের খুব ভাল উৎস। লেগুমস হজমক্ষমতাকে উন্নত করে এবং ম্যাগনেসিয়াম শোষণ বাড়াতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন: নিজে অক্ষম, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশীকে ভাড়া করলেন যুবক, ৭২ বার চেষ্টার পর কী হল ফলাফল?

৫। ডার্ক চকোলেট: ৭০% বা তার বেশি কোকোযুক্ত ডার্ক চকোলেট ম্যাগনেসিয়ামের একটি সুস্বাদু উৎস। তবে, পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ভাল, কারণ এতে চিনি এবং ক্যালোরিও থাকে।

৬। কলা: কলা ম্যাগনেসিয়ামের একটি সহজলভ্য উৎস এবং এটি পটাশিয়াম ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদানেও সমৃদ্ধ। মাঝারি আকারের কলা ৩২ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম সরবরাহ করে দেহে। একরণেই খেলোয়াড়রা খেলার মাঝে কলা খান।
আরও পড়ুন: নিজে অক্ষম, স্ত্রীকে অন্তঃসত্ত্বা করতে প্রতিবেশীকে ভাড়া করলেন যুবক, ৭২ বার চেষ্টার পর কী হল ফলাফল?

৭। ফ্যাটি ফিশ: স্যামন, ম্যাকারেল এবং টুনা মাছ ম্যাগনেসিয়ামের পাশাপাশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সরবরাহ করে, যা শরীরের সামগ্রিক স্বাস্থ্য ভাল রাখতে এবং খনিজ পদার্থের শোষণ ক্ষমতা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ। ১০০ গ্রাম রান্না করা স্যামন মাছে প্রায় ৩০ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম থাকে।