চলতি বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ ৭ সেপ্টেম্বর, রবিবার হতে চলেছে। ভারত থেকে দৃশ্যমান এই চন্দ্রগ্রহণ রাত ৮:৫৮ মিনিটে শুরু হবে এবং মধ্যরাতে রাত ১:২৫ মিনিটে শেষ হবে। জ্যোতিষশাস্ত্র মতে, এই চন্দ্রগ্রহণে ৫টি রাশির জাতকদের খুব সতর্ক থাকতে হবে। তাঁদের জীবনে চন্দ্রগ্রহণের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে এবং অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। জেনে নেওয়া যাক কোন কোন রাশিতে এর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে।
চন্দ্রগ্রহণের নেতিবাচক প্রভাব রাশিচক্রে
মেষ:
বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ মেষ রাশির জাতকদের জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। কর্মজীবনে প্রতিকূল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, তাই সতর্ক থাকা জরুরি। সুযোগ হারিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে, তাই চোখ-কান খোলা রাখা দরকার। এই দিনে কেউ আপনাকে কোনও পরামর্শ দিলে তা মনোযোগ দিয়ে শোনা উচিত, নইলে ক্ষতি হতে পারে। কঠিন সময়ে অন্যের সাহায্য নিতে দ্বিধা করবেন না। প্রেমজীবনে সঙ্গীর আবেগকে সম্মান দিন, নইলে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে।
বৃষ:
চন্দ্রগ্রহণের দিনে বৃষ রাশির জাতকদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ উঠতে পারে, যা তাদের মানসিকভাবে আঘাত করতে পারে। এসব অভিযোগ থেকে সতর্ক থাকতে হবে, নইলে ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। কর্মজীবনে সমস্যার মুখোমুখি হতে পারেন। এদিন রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখা ও অহংকার থেকে দূরে থাকা খুব জরুরি। সাফল্যের সঙ্গে বিনয়ও থাকা উচিত, নইলে শত্রু বাড়তে পারে। এদিন আপনার কথা বা আচরণে কেউ কষ্ট পেতে পারে। কোনও সমস্যা এলে ধৈর্যের সঙ্গে তার সমাধান খুঁজে বার করা উচিত।
কন্যা:
চন্দ্রগ্রহণের সময় কন্যা রাশির জাতকদের তাঁদের রাগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। না হলে আবেগে ভেসে গিয়ে নিজেরই ক্ষতি করতে পারেন। এদিন জীবনে কিছুটা অস্থিরতা দেখা দিতে পারে। তাই ধৈর্য ও সংযম বজায় রাখলে পরিস্থিতি সহজ হবে, নইলে বিষয়গুলো হাতের বাইরে চলে যেতে পারে। মন শান্ত রেখে কাজ করলে সাফল্য মিলবে। সংকটময় সময়ে ধৈর্য রাখা খুব জরুরি। এদিন মানসিক স্বাস্থ্যের প্রতিও বিশেষ যত্নশীল হন।
বৃশ্চিক:
চন্দ্রগ্রহণের সময় বৃশ্চিক রাশির জাতকদের উচিত নেতিবাচক চিন্তাভাবনাকারী লোকদের থেকে দূরে থাকা। নইলে তাঁরা আপনার শান্তি নষ্ট করতে পারে এবং আপনার জন্য সমস্যার কারণ হতে পারে। এদিন আইন হাতে তুলে নেওয়া বা নিয়ম ভাঙা একেবারেই ঠিক হবে না, নইলে বিপদে পড়তে পারেন। কিছু মানুষ আপনার প্রতি হিংসা প্রকাশ করতে পারে, তাই সচেতন এবং সতর্ক থাকা শ্রেয়।
ধনু:
চন্দ্রগ্রহণের দিনে ধনু রাশির জাতকরা পারিবারিক জীবনে কলহ বা অশান্তির মুখোমুখি হতে পারেন। মানসিক শান্তির জন্য পরিবার থেকে দূরে যাওয়ার ইচ্ছাও হতে পারে। এদিন কর্মক্ষেত্রের রাজনীতি থেকে দূরে থাকাই ভাল, নইলে অপ্রয়োজনীয় বিরোধে জড়াতে পারেন, যা আপনার মানসিক শান্তি নষ্ট করবে। মানসিক চাপ বাড়তে পারে এবং বর্তমান চাকরিতে অস্বস্তি বোধ হতে পারে। জীবনের কঠিন অভিজ্ঞতাগুলো আপনাকে হতাশ করতে পারে। আবেগগতভাবে নিজেকে দুর্বল মনে হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
