আজকাল ওয়েবডেস্ক: একটু বেশি টাকা উপার্জন করতে কে না চান? অনেকের মনেই ইচ্ছে থাকে, মা লক্ষ্মীর কৃপায় যেন টাকায়-পয়সায় ভরে থাকে সংসার। এর জন্য দিনরাত কঠোর পরিশ্রম করতেও পিছপা হন না কেউ কেউ। কিন্তু অনেক সময়েই দেখা যায়, হাজার চেষ্টা সত্ত্বেও ভাগ্য সঙ্গ দেয় না। টাকা এলেও তা জলের মতো বেরিয়ে যায়, সঞ্চয়ের ঘর থাকে প্রায় শূন্য।
এই সমস্যার সমাধানে শাস্ত্র এবং পুরনো দিনের বিশ্বাসে এমন কিছু টোটকার কথা বলা আছে, যা মেনে পকেটে বা মানিব্যাগে কয়েকটি জিনিস রাখলে অর্থের আগমন ঘটে এবং আর্থিক উন্নতি বজায় থাকে। এটা একেবারেই আস্থার বিষয়। অনেকে এগুলিকে নিছক সংস্কার বলে অবহেলা করেন। তবুও বহু মানুষ যুগ যুগ ধরে এই নিয়মগুলি মেনে আসছেন। চলুন, দেখে নেওয়া যাক সেই প্রচলিত বিশ্বাসগুলি।
১। শ্রীযন্ত্র বা লক্ষ্মীর ছবি
প্রাচীন বিশ্বাস অনুযায়ী, শ্রীযন্ত্রকে মা লক্ষ্মীরই একটি রূপ বলে মনে করা হয়। এর জ্যামিতিক নকশা নাকি মহাবিশ্বের ইতিবাচক শক্তিকে আকর্ষণ করে। একটি ছোট তামার পাতে খোদাই করা শ্রীযন্ত্র বা মা লক্ষ্মীর পায়ের ছবি দেওয়া একটি রুপোর মুদ্রা পকেটে বা মানিব্যাগে রাখলে আর্থিক সংকট দূর হয় বলে মনে করা হয়।
২। কয়েকটি চালের দানা
হিন্দু ধর্মে চালকে অত্যন্ত পবিত্র এবং সমৃদ্ধির প্রতীক হিসেবে দেখা হয়। যে কোনও শুভ অনুষ্ঠানেই চালের ব্যবহার অপরিহার্য। প্রচলিত বিশ্বাস অনুযায়ী, মা লক্ষ্মীকে অর্পণ করা ২১টি অক্ষত চালের দানা একটি ছোট কাগজের মোড়কে ভরে যদি মানিব্যাগে রাখা যায়, তবে অর্থের অপচয় কমে এবং সঞ্চয় বৃদ্ধি পায়।
৩। অশ্বত্থ পাতা
পুরাণ মতে, অশ্বত্থ বা পিপুল গাছে দেবতাদের বাস। বিশেষত, ভগবান বিষ্ণুর আশীর্বাদ থাকে এই গাছে। বিশ্বাস করা হয়, পরিষ্কার এবং অক্ষত অশ্বত্থ পাতা গঙ্গা জল দিয়ে ধুয়ে, কেশর দিয়ে তার উপর ‘শ্রী’ লিখে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর সেই পাতাটি মানিব্যাগের টাকার সঙ্গে রাখতে হবে। এই টোটকা মেনে চললে কখনও অর্থাভাব হয় না। পাতাটি ছিঁড়ে গেলে একই পদ্ধতিতে নতুন পাতা রাখতে হবে।
আরও পড়ুন: মধুচক্র চালানোয় অভিযুক্ত অভিনেত্রী অনুষ্কা দাস! সেক্স র্যাকেট থেকে উদ্ধার বাংলা সিরিয়ালের আরও ২ নায়িকা! তুলকালাম মহারাষ্ট্রে
৪। কড়ি
প্রাচীনকালে মুদ্রা হিসেবে কড়ির ব্যবহার ছিল। সমুদ্র থেকে উৎপন্ন হওয়ার কারণে কড়িকে মা লক্ষ্মীর অংশ বলে মনে করা হয়। বাস্তু বিশেষজ্ঞরা বলেন, হলুদ কাপড়ে কয়েকটি (৫টি বা ৭টি) কড়ি বেঁধে পকেটে বা মানিব্যাগে রাখলে তা অর্থকে আকর্ষণ করে এবং আকস্মিক ধনলাভের সম্ভাবনা তৈরি করে।
৫। ময়ূরের পালক
ময়ূরের পালককে শুধু সৌন্দর্য নয়, সৌভাগ্যেরও প্রতীক বলে মনে করা হয়। ভগবান শ্রীকৃষ্ণ থেকে শুরু করে কার্তিক, অনেক দেবদেবীর সঙ্গেই এর যোগ রয়েছে। বিশ্বাস করা হয়, একটি ছোট ময়ূরের পালক পকেটে রাখলে তা নেতিবাচক শক্তিকে দূরে সরিয়ে আর্থিক বাধা দূর করে এবং উন্নতির পথ খুলে দেয়।
সবশেষে মনে রাখা প্রয়োজন, কঠোর পরিশ্রম এবং সঠিক পরিকল্পনার কোনও বিকল্প হতে পারে না। এই টোটকাগুলি মূলত প্রচলিত বিশ্বাস, যা মানুষের মনে একটি ইতিবাচক প্রভাব ফেলে। আর এই ইতিবাচক মানসিকতাই হয়তো সাফল্য এবং সমৃদ্ধির আসল চাবিকাঠি।
