আজকাল ওয়েবডেস্ক: পুরুষের স্বাস্থ্যের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে রয়েছে তার দৈনন্দিন জীবনযাত্রা। বিশেষ করে যৌনস্বাস্থ্য ধরে রাখতে হলে কিছু অভ্যাস থেকে সরে আসা জরুরি। অনেকেই অকারণে ভয় পান বা গুজবে কান দিয়ে ধরে নেন যে ‘সমস্যা’ আছে— অথচ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হন না। এমনকী, নিজেদের অজান্তেই কিছু প্রতিদিনের অভ্যাস পুরুষের যৌনক্ষমতা ধ্বংস করছে।
চলুন দেখে নেওয়া যাক এমন ৮টি অভ্যাস, যেগুলি পুরুষের যৌনক্ষমতার শত্রু হতে পারে:
১. ধূমপান – পুরুষত্বের নীরব ঘাতক:
ধূমপান কেবল ফুসফুসই নয়, পুরুষাঙ্গের কার্যক্ষমতার উপরও বাজে প্রভাব ফেলে। ‘ব্রিটিশ জার্নাল অব ইউরোলজি’তে প্রকাশিত এক গবেষণায় দেখা গেছে, ধূমপান ছাড়লে ৭৫ শতাংশ পুরুষের যৌনক্ষমতায় উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়।
২. দাঁতের স্বাস্থ্য অবহেলা নয়:
দাঁত বা মাড়ির সমস্যা শুনতে অবান্তর লাগলেও, গবেষণা বলছে – যাঁরা যৌনদৌর্বল্যে ভোগেন, তাঁদের মধ্যে মাড়ির রোগের সম্ভাবনা সাত গুণ বেশি। কারণ মুখের জীবাণু রক্তপ্রবাহের মাধ্যমে গোপনাঙ্গের ধমনিতে প্রভাব ফেলে।
৩. যৌন সম্পর্কের অনিয়মিততা:
‘আমেরিকান জার্নাল অফ মেডিসিন’ জানাচ্ছে, সপ্তাহে অন্তত একবার যৌনসম্পর্ক না ঘটলে পুরুষাঙ্গের দৃঢ়তা হ্রাস পেতে পারে। তিনবার হলে সবচেয়ে ভাল ফল পাওয়া যায়।
৪. তরমুজ খাওয়া উপকারী:
তরমুজে থাকা ‘সিট্রুলিন-আর্জিনিন’ যৌগ শরীরে নাইট্রিক অক্সাইডের মাত্রা বাড়িয়ে রক্তপ্রবাহ উন্নত করে। ফলে যৌনক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। প্রতিদিন কিছুটা তরমুজ খাওয়া উপকারি।
৫. ট্রান্স ফ্যাটের ফাঁদে পা দেবেন না:
বাজারচলতি প্রক্রিয়াজাত খাবারে থাকা ট্রান্স ফ্যাট শুক্রাণুর মান নষ্ট করে দেয়। পুরুষত্ব ধরে রাখতে খাবারের তালিকা থেকে এই উপাদান বাদ দেওয়া জরুরি।
৬. অতিরিক্ত টিভি দেখা – নীরব ক্ষয়:
‘ব্রিটিশ জার্নাল অফ স্পোর্টস মেডিসিন’-এর মতে, যারা সপ্তাহে ২০ ঘণ্টার বেশি টেলিভিশন দেখেন, তাঁদের শুক্রাণুর ঘনত্ব প্রায় ৪৪ শতাংশ কমে যেতে পারে।
৭. মানসিক উদ্বেগ ও চাপ:
অতিরিক্ত মানসিক চাপ এবং দুশ্চিন্তা পুরুষাঙ্গের কার্যক্ষমতা সরাসরি প্রভাবিত করে। স্নায়বিক ভারসাম্য হারালে যৌনজীবনেও তার প্রতিফলন পড়ে।
৮. নিজে থেকেই ডায়াগনসিস না করা:
অনেক পুরুষ যৌনজীবনের সমস্যায় ভুগলেও চিকিৎসকের কাছে না গিয়ে নিজেই গুগল ঘেঁটে সমাধান খোঁজেন। এতে সমস্যার সমাধান তো হয়ই না, বরং অবস্থা আরও জটিল হয়।
সুতরাং, যারা নিজেদের পুরুষত্ব ধরে রাখতে চান, তাঁদের উচিত এই ৮টি অভ্যাস থেকে যত দ্রুত সম্ভব দূরে সরে যাওয়া এবং প্রয়োজনে একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। পুরুষত্ব রক্ষায় সচেতন থাকুন, সুস্থ থাকুন।
