আজকাল ওয়েবডেস্কঃ একাকিত্ব হোক বা যে কোনও মানসিক চাপ, এক নিমেষে মন ভাল করে দিতে পারে পোষ্য। তবে শখ করে বাড়িতে চারপেয়ে সদস্যকে আনলেই তো হল না, তার সঠিক যত্নেরও প্রয়োজন। খাওয়ানো, ঘোরানো, স্নান করানো থেকে নখ কাটা সহ যাবতীয় বিষয়ের যত্ন নিতে হয়। তবে এত কিছুর মাঝে যে বিষয়টিতে একেবারে যত্নের গাফিলতি করলে চলবে না, তা হল দাঁত। কারণ অযত্নের কারণে পোষ্যরও হতে পারে দাঁতে যন্ত্রণা, দাঁত ক্ষয়ের সমস্যা। 

পশু চিকিৎসকের মতে, প্রায় ৩০ শতাংশ কুকুর তিন বছর বয়সের পর থেকেই দাঁতের সমস্যার ভোগে। আর সেই সমস্যা থেকে কোনও সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়তে পারে পোষ্যর লিভার এবং হৃদযন্ত্রে। বেশি দেরি হলে এই সমস্যা থেকে বিপদ ঘটতে পারে। তাহলে নিয়মিত কীভাবে চারপেয়ের দাঁতের যত্ন নেবেন, জেনে নিন-

১. নিয়মিত ব্রাশঃ মানুষের মতো পোষ্যকেও প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ করানো উচিত। যার জন্য ব্যবহার করতে হবে নির্দিষ্ট টুথব্রাশ এবং টুথপেস্ট। তবে ভুলেও মানুষের ব্যবহৃত টুথপেস্ট দিয়ে দাঁত মাজাবেন না। যদিও কুকুর ও বিড়ালের জন্য রোজ ব্রাশ করা আদর্শ। সপ্তাহে কমপক্ষে তিনবার দাঁত ব্রাশ করলেও চলবে। 
২. নিয়মিত দাঁতের চেকআপঃ পশুচিকিৎসকরা বছরে অন্তত একবার পোষ্যর দাঁতের পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দেন। এই চেকআপের সময়ই দাঁতের কোনও সমস্যা হলে শনাক্ত করা যাবে। একইসঙ্গে প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসা করাতে পারবেন। 
৩. দাঁতের চিকিৎসাঃ পশুচিকিৎসা দন্ত সংস্থা কর্তৃক অনুমোদিত দাঁতের চিবানোর জিনিস নির্বাচন করা উচিত। এই পণ্যগুলি বিশেষভাবে প্লাক এবং টার্টার কমানোর জন্য তৈরি করা হয়। যা চারপেয়েরা বেশ উপভোগও করে। 
৪. দাঁতের খেলনাঃ দাঁতের খেলনাগুলি বিশেষভাবে পোষ্যর দাঁত প্রাকৃতিকভাবে পরিষ্কার করার জন্য এবং চিবানোর সময় মাড়ি ম্যাসাজ করার জন্য তৈরি করা হয়। যা প্রাকৃতিকভাবে মুখের স্বাস্থ্য ভাল করে। সেক্ষেত্রে ঘর্ষণহীন, শক্ত খেলনা বাছুন যা দাঁতের এনামেলের ক্ষতি না করে দক্ষতার সাথে প্লাক কমায়। এই খেলনাগুলির ক্রমাগত ব্যবহার করলে পোষ্যর দাঁত ভাল থাকবে। 
৫. লক্ষণ বুঝে সতর্ক হনঃ বেশ কিছু লক্ষণ দেখলে সর্তক হন। যেমন- মুখের দুর্গন্ধ, মুখ থেকে খাবার ফেলে দেওয়া, মাড়ি লাল হয়ে যাওয়া বা রক্ত ​​পড়া, খাওয়াতে অসুবিধা, দাঁত আলগা হয়ে যাওয়া, মুখের চারপাশে ফোলাভাব।