আজকাল ওয়েবডেস্ক: বহুতলের ফ্ল্যাট হোক বা নিজের বাড়ির ছাদ, অনেকেই আজকাল নিজের পছন্দসই গাছ দিয়ে এক টুকরো বাগান সাজাতে ভালবাসেন। কিন্তু সবসময় বাজারজাত রাসায়নিক দিয়ে সেই বাগানের পরিচর্যা করা সম্ভব হয় না। কোন সার কোন গাছে দেবেন, কতটা দেবেন, সার বা কীটনাশক দিলে কীভাবে হাত-পা পরিষ্কার করবেন এসব ভাবার সময় ক'জনেরই বা থাকে? তাই যাঁরা এত কিছু নিয়ে ভাবতে চান না, তাঁদের জন্য সবে ধন নীলমণি হতে পারে রান্নাঘরের ফেলে দেওয়া কিছু জিনিস। 

কম্পোস্ট: ফল ও সবজির খোসা, ডিমের খোসা, কফির অবশিষ্টাংশ, চা পাতা, কিছুটা ঘাস এবং কাঠের গুঁড়ো একটি বালতিতে স্তরে স্তরে সাজান। অল্প জল দিয়ে আর্দ্রতা বজায় রাখুন। কিছু দিন পর পর একটু নাড়িয়ে আবার জল দিন। কয়েক মাস পর জৈব সার তৈরি হয়ে যাবে। এই কম্পোস্ট সার টবের মাটি উর্বর করতে এবং গাছের প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করতে সাহায্য করে।

চা পাতা: মনে আছে কীভাবে সত্যবতীর গোলাপ চারা লাগানোর চক্করে ব্যোমকেশের চা খাওয়া বেড়ে গিয়েছিল? আসলে এই টোটকাটা অনেকেই জানেন। চা ছাঁকার পর যে অবশিষ্ট চা পাতা পরে থাকে, সেটা সার হিসেবে খুব ভাল। বিশেষ করে গোলাপ গাছের জন্য। চাইলে চায়ে ব্যবহৃত টি ব্যাগও গাছের সার হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন।

ডিমের খোসা: ডিমের খোসায় ক্যালশিয়াম থাকে। এই মৌল গাছের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। সার তৈরির জন্য এটি ভীষণ ভাল উপাদান। ডিমের খোসা ধুয়ে, গুঁড়ো করে নিন। সেই গুঁড়ো জৈব সারের সঙ্গে মিশিয়ে দিন।