আজকাল ওয়েব ডেস্ক: বর্ষাকাল মানেই মশা, মাছি, পোকামাকড়ের বাড়বাড়ন্ত। বর্ষায় স্যাঁতস্যাঁতে আবহাওয়ায় সাপ, কেঁচো, জোঁকের মতো সরীসৃপদেরও উৎপাত বাড়ে। একটু ফাঁকফোকর পেলেই ঢুকে পড়তে পারে ঘরে। তবে কিছু সহজ টিপস মানলে বর্ষাকালেও নিশ্চিন্তে থাকা সম্ভব। জেনে নিন সেই বিষয়ে:  

লেবু ও বেকিং সোডার একটি মিশ্রণ তৈরি করে নিন। এবার স্প্রে বোতলে ভরে নিয়ে ঘরের কোণায় কোণায় মিশ্রণটি ছড়িয়ে দিন। তাহলেই কমবে পোকার উপদ্রব।

অনেক পোকামাকড়ই গোলমরিচ সহ্য করতে পারে না। তাই গোলমরিচের সঙ্গে জল মিশিয়ে পোকামাকড়ের উপর ছিটিয়ে দিতে পারেন। এতেও উপকার পাবেন।

বৃষ্টির দিনে পেপারমিন্ট ও ল্যাভেন্ডার এসেনশিয়াল অয়েল পোকামাকড় তাড়াতে বেশ উপকারী। ঘরের বিভিন্ন কোণায় এই তেল ছড়িয়ে দিতে পারেন। 

নিম তেলও পোকামাকড় তাড়াতে বেশ কাজে আসে। স্যাঁতসেঁতে বর্ষায় ঘরের তরতাজা ভাব ধরে রাখতেও পারে এই তেল। অর্ধেক বোতল জলে ভরে বাকিটা ভর্তি করুন নিম তেলে। তারপরে দুই উপকরণ মিশিয়ে নিয়ে সারা বাড়িতে বারবার স্প্রে করে দিন। বর্ষায় নানা ক্ষতিকারক পোকামাকড় আপনার ঘরের ধারেকাছেও ঘেঁষবে না।

অনেক ধরনের কীট-পতঙ্গ মারার জন্যই বোরিক অ্যাসিড ব্যবহার করা হয়। ঘরের ভেজা স্যাঁতস্যাঁতে জায়গায়, অন্ধকার কোণে, বাগানে বোরিক অ্যাসিড ছিটিয়ে দিন। 

ঘরদোর বেশি আর্দ্র ও স্যাঁতসেঁতে হলেই কেঁচো, কেন্নোর উপদ্রব বাড়ে। ঘরে ঠিক মতো বাতাস চলাচল হওয়া জরুরি। দিনের বেলায় ঘরে ভাল করে রোদ আসতে দিন। আর্দ্রতা কমলে কমবে এই ধরনের সরীসৃপের উপদ্রবও।

বর্ষা এলে বাড়ির চারপাশে ছড়িয়ে দিন কার্বলিক অ্যাসিড। কাচের বোতলে অ্যাসিড রেখে বিভিন্ন জায়গায় রেখে দিতে পারেন। আশেপাশে সাপ থাকলে অ্যাসিডের গন্ধে পালিয়ে যাবে। সাপ বা বিছের উৎপাত বাড়লে বাড়ির চারপাশে সালফার গুঁড়ো ছড়িয়ে দিতে পারেন। সালফারের ঝাঁজ সহ্য করতে পারে না সাপ। এই গন্ধে পালাবে পোকামাকড়ও।

বর্ষায় বাড়ির চারপাশ পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন। প্রতিদিন ঘরও পরিষ্কার করতে হবে। কারণ ঘর অপরিচ্ছন্ন থাকলে কোনও টোটকাই কাজে আসবে না। আবর্জনার পাত্র সবসময় ঢাকা দিয়ে রাখুন। ডাস্টবিনে কোনও ধরনের ছিদ্র থাকলে তাও ঢেকে রাখুন।