আজকাল ওয়েব ডেস্ক: আজকাল অল্প বয়স থেকে বাড়ছে জীবনধারা সংক্রান্ত রোগ। নেপথ্যে এক জায়গায় ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকা, একটানা ল্যাপটপ কিংবা কম্পিউটারে কাজ করা, শরীরচর্চায় অনিহা, ভুল খাদ্যাভাস ইত্যাদি বিভিন্ন কারণ। ফলে শরীরে হানা দিচ্ছে স্থূলতা, বাড়ছে রক্তে শর্করার মাত্রা, খারাপ কোলেস্টেরল সহ নানান সমস্যা। তবে সঠিক জীবনধারা মেনে চললেই সহজে এই সব রোগ নিরাময় সম্ভব। ব্যস্ততার জীবনে অন্য কোনও শরীরচর্চা করার সময় না থাকলেও প্রতিদিন হাঁটার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। হাঁটা হল সুস্থতার জন্য সবচেয়ে সহজ ও কার্যকরী এক্সারসাইজ। তাই দিনের যে কোনও সময়ে হাঁটার পরামর্শ দেওয়া হয়। তবে অনেকেরই আক্ষেপ থাকে, নির্দিষ্ট পরিমাণ হাঁটার পরও ওজন কমছে না। সেক্ষেত্রে ঘণ্টার পর ঘণ্টা হাঁটাহাঁটির আগে জানুন বয়স অনুযায়ী আপনার ঠিক কতটা হাঁটা উচিত।
সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের মতে, প্রত্যেক মানুষের রোজ ৮ কিলোমিটার হাঁটা উচিত। আবার ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের পরামর্শ, নিয়মিত ১৫০ মিনিট মাঝারি থেকে বেশি এক্সারসাইজ শরীরের জন্য ভাল। অর্থাৎ সেই হিসেবে ৩০ মিনিট হাঁটা জরুরি।
অন্যদিকে,সায়েটিফিক আমেরিকানের রিপোর্ট অনুযায়ী, ৬০ বছরের কম বয়স হলে ৮০০০ থেকে ১০০০০ স্টেপ হাঁটতে হবে। যদিও রোজ একই রকমভাবে হাঁটা সম্ভব নাও হতে পারে! তবে ১০ হাজার পা হাঁটার লক্ষ্যপূরণ করা একেবারেই অসম্ভব তা বলা যায় না! প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ হাজার স্টেপ হাঁটা হৃদরোগ সহ সার্বিক সুস্থতায় সাহায্য করে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত ৩-৪ কিলোমিটার হাঁটা শরীরের জন্য ভাল। বয়স ৬০ বছরের কম হলে ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার হাঁটা উচিত। ধীরে ধীরে হাঁটার পরিমাণ বাড়াতে পারেন। ৬ থেকে ১৭ বছর বয়সিদের অন্তত এক ঘণ্টা এক্সারসাইজ অথবা ৩-৪ কিলোমিটার হাঁটা কিংবা খেলাধুলা করতে হবে।
যে কোনও বয়সের জন্যই ৩০ থেকে ৪৫ মিনিট হাঁটা ভাল। নিয়মিত হাঁটলে বিভিন্ন ধরনের উপকার হয়। রক্ত সঞ্চালন বাড়ে, স্ট্রেস কমে, মন ফুরফুরে থেকে এনার্জি বেড়ে যায়। রোজ হাঁটাহাঁটি করলে ত্বকের স্বাস্থ্যও ভাল থাকে।
