আজকাল ওয়েব ডেস্ক: মজার ছলে ‘ঢ্যাঁড়শ’ নামে সম্বোধন করলে বেজায় চটে যান অনেকেই। আবার হড়হড়ে সবজি বলে ঢ্যাঁড়শের নাম শুনলে নাম সিঁটকানোর মানুষও কম নেই। কিন্তু ভিন্ডি, ওকরা বা লেডি ফিংগার কিংবা ঢ্যাঁড়শ যে নামেই ডাকুন না কেন, এই সবজির গুণ কিন্তু কোনও অংশে কম নয়। পুষ্টিগুণে ভরপুর ঢ্যাঁড়শে রয়েছে ফাইবার, ভিটামিন বি৬, এ, সি, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম এবং ক্যালশিয়ামের মতো উপাদান। তাই যতই অবহেলা করুন না কেন, ঢ্যাঁড়শ পাতে রাখলে অনেক রোগ-ব্যধি থেকে দূরে থাকবেন।
আজকাল কম বয়সেই শরীরে ডায়াবেটিস হানা দিতে দেখা যায়। সেই প্রকোপ থেকে বাঁচাতে পারে ঢ্যাঁড়শ। রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এই সবজি। ছোট থেকে ঢ্যাঁড়শ খাওয়ার অভ্যাস থাকলে পরবর্তীকালে টাইপ-২ ডায়াবিটিসে আক্রান্ত সম্ভাবনা থাকে।
এখনকার লাইফস্টাইলে কম বয়সিরাও কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সমস্যায় ভোগেন। ফাইবার রক্তে এই খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ঢ্যাঁড়শে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। তাই নিয়মিত এই সবজি খেলে বাড়বে না কোলেস্টেরল, ভাল থাকবে হার্ট।
খাবার হজমেও সাহায্য করে ঢ্যাঁড়শ। এছাড়াও ঢ্যাঁড়শে রয়েছে দুই ধরনের ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দারুণ কাজ করে। তাই পেট ফাঁপা, বদহজম কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যেোর মতো সমস্যায় ভুগলে ঢ্যাঁড়শ খাওয়ার পরামর্শ দেন পু্ষ্টিবিদরা।
রোজকার ডায়েটে ঢ্যাঁড়শ রাখলে হাঁড় মজবুত থাকে। হাড়ের জন্য প্রয়োজনীয় দু’টি উপাদান ক্যালশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম সহ ভিটামিন সি রয়েছে ঢ্যাঁড়শে। তাই অস্টিয়োপোরোসিসের মতো হাড়ের রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিয়মিত খান ঢ্যাঁড়শ।
অতিরিক্ত ওজনের জন্য দুশ্চিন্তায় ভুগছেন? তাহলে ডায়েটে রাখতে পারেন ঢ্যাঁড়শের পদ। কারণ এই সবজিতে থাকা ফাইবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখে। ফলে অতিরিক্ত খাওয়ার প্রবণতা কমে যায়, বার বার খেতেও ইচ্ছেও করে না।
কিডনির কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় ঢ্যাঁড়শ। রোজ এক বাটি করে ঢ্যাঁড়শের তরকারি খেলে কিডনির ভিতরে জমে থাকা ক্ষতিকর উপাদান বেরিয়ে যেতে শুরু করে। এছাড়া চোখ ভাল রাখতেও ঢ্যাঁড়শের ভূমিকা রয়েছে। ত্বকের জেল্লা বজায় রাখার পাশাপাশি বয়সজনিত লক্ষণগুলি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে এই সবজি।
