আজকাল ওয়েবডেস্ক: এমনিতেই এখন মানুষ অনেক বেশি স্বাস্থ্য সচেতন। জীবনবিমা থেকে শুরু করে মেডিক্লেম অনেকেই আপৎকালীন পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এসবের বন্দোবস্ত করে রাখেন। কিন্তু এসব তো হাসপাতালে যাওয়ার পরের কথা। বাড়িতে থাকতে থাকতেই যদি আচমকা শরীর বিগড়ে যায়? আধুনিক জীবনযাত্রার চাপে হঠাৎ জ্বর, শ্বাসকষ্ট, রক্তচাপের আকস্মিক ওঠানামা বা রক্তে শর্করার তারতম্য, এ সবই এখন ‘ঘর ঘর কি কাহানি’। তাই আপৎকালীন পরিস্থিতি সামাল দিতে বা বড় বিপদ ঘটার আগেই তাতে লাগাম টানতে কয়েকটি অত্যাবশ্যক স্বাস্থ্য-যন্ত্র বা গ্যাজেট বাড়িতে রাখা জরুরি।
১. ডিজিটাল থার্মোমিটার
শরীরে গরম লাগছে বা আচমকা কাঁপুনি দিচ্ছে, এমন অবস্থায় জ্বর এল কি না, তা বুঝতে এক লহমায় শরীরের তাপমাত্রা মেপে নেওয়া জরুরি। পারদের থার্মোমিটারের চেয়ে ডিজিটাল যন্ত্র অনেক বেশি নিরাপদ ও নির্ভুল। ব্যবহার করাও সহজ।
২. ডিজিটাল ব্লাড প্রেসার মনিটর
উচ্চ রক্তচাপ এখন নীরব ঘাতকের মতো ঢুকে পড়েছে বাড়ি বাড়ি। সব সময় তো চিকিৎসকের কাছে যাওয়া সম্ভব হয় না। তাই বাড়িতে রক্তচাপের উপর নিয়মিত নজর রাখতে এই যন্ত্রটি অপরিহার্য। উচ্চ রক্তচাপের রোগী, অন্তঃসত্ত্বা মহিলা এবং বয়স্কদের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখতে এই যন্ত্র ঘরে রাখতেই হবে। হঠাৎ মাথা ঘুরে গেলে বা অব্যক্ত শারীরিক অস্বস্তি হলে মেপে নিন বিপি।
৩. গ্লুকোমিটার বা ব্লাড সুগার মনিটর
যাঁদের ডায়াবিটিস রয়েছে, তাঁদের জন্য রক্তে শর্করার মাত্রা পরীক্ষা করাটা রোজকার রুটিন। হঠাৎ সুগার কমে গিয়ে ‘হাইপো গ্লাইসেমিয়া’ হওয়া বা বেড়ে গিয়ে ‘হাইপার’ হওয়ার মতো বিপজ্জনক পরিস্থিতি এড়াতে এই যন্ত্রই ভরসা। ইনসুলিন-নির্ভর রোগীদের ক্ষেত্রে তো বটেই, যে কোনও প্রি ডায়াবেটিক রোগীর ঘরেও গ্লুকোমিটার থাকা আবশ্যক।
৪. পালস অক্সিমিটার
কোভিড অতিমারি শিখিয়েছে, রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমে যাওয়া কতটা মারাত্মক হতে পারে। শরীরে অক্সিজেনের ঘনত্ব এবং হৃদ্স্পন্দনের হার (পালস রেট) মুহূর্তে জানিয়ে দেয় এই ছোট যন্ত্রটি। শ্বাসকষ্ট, অ্যাজমা বা সিওপিডি-র মতো সমস্যায় যাঁরা ভোগেন, তাঁদের জন্য এটি রক্ষাকবচ হয়ে উঠতে পারে।
৫. প্রাথমিক চিকিৎসার সরঞ্জাম (ফার্স্ট-এড কিট)
গ্যাজেটের বাইরেও ফাস্ট এড বাক্স প্রত্যেক বাড়িতে থাকা উচিত। হঠাৎ কেটে-ছড়ে গেলে, পুড়ে গেলে চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার আগে প্রাথমিক সুরাহা দিতে এর জুড়ি মেলা ভার। একটি বাক্সে পরিপাটি করে গুছিয়ে রাখুন ব্যান্ডেজ, অ্যান্টিসেপটিক লোশন, বার্ন ক্রিম, তুলো, কাঁচি, সেফটি পিন এবং কয়েকটি জরুরি ওষুধ (যেমন ব্যথানাশক, অম্বলের ওষুধ, ওআরএস ইত্যাদি)। বাড়িতে শিশু বা নির্দিষ্ট কোনও রোগী থাকলে তাঁদের জরুরি ওষুধ, যেমন ইনহেলারও এই কিটে রাখতে পারেন।
