আজকাল ওয়েবডেস্কঃ আজকাল অল্পবয়সেই শরীরে হানা দিচ্ছে একাধিক ক্রনিক রোগ। যার জন্য শুধু ওষুধ নয়, নিয়মিত বেশ কিছু খাবার খেলে উপকার মেলে। আমাদের দেশে সস্তায় পাওয়া যায় তেমনই একটি 'সুপারফুড' হল কলা। এই ফলটি আমাদের শরীরের জন্য নানাভাবে উপকারী। আয়ুর্বেদ তো বটেই, আধুনিক বিজ্ঞানও সার্বিকভাবে সুস্বাস্থ্যের জন্য কলা খাওয়ার উপর গুরুত্ব দিয়েছে।
কলার গ্লাইসেমিক ইনডেক্স বেশি, যা রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই অনেকেই ডায়াবেটিসে কলা খেতে ভয় পান। কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণা কিন্তু অন্য কথা বলছে৷ ডায়াবেটিস রোগীদের খাদ্যাভাসের দিকে বিশেষ নজর রাখতে হয় ঠিকই। সে যে খাবারই হোক না কেন, একটু ক্যালোরি বেশি থাকলেই নয় তা খাওয়া বারণ। আর নয় কম পরিমাণে খেতে হয়। তাচগাকলায় প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন এবং ফাইবার পাওয়া যায়। এমনকী বিশেষজ্ঞরা বলছে, ব্রেকফাস্টে কলা খেকে ফাস্টিং ব্লাড সুগার কমে যেতে পারে।
কলায় ক্যালোরির পরিমাণ খুব বেশি। নিয়মিত কলা খেলে ওজন বাড়তে পারে, এমন ধারণা রয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত এমন কোনও গবেষণায় দাবি করা হয়নি যে কলা খেলে ওজন বাড়ে। বরং বিশেষজ্ঞদের মতে, কলায় উচ্চমাত্রায় ফাইবার এবং কম ক্যালরি রয়েছে। এই কারণেই যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা নির্বিদ্ধায় এটি খেতে পারে। নিয়মিত ব্রেকফাস্টে কলা খেলে ফ্যাট মেটাবলিসম নিয়ন্ত্রণে থাকে।
কলায় রয়েছে ফাইবারের ভাণ্ডার। তাই নিয়মিত কলা খেলে পেটের স্বাস্থ্যের উন্নতি হয়। এমনকী এড়িয়ে যাওয়া যায় গ্যাস, অ্যাসিডিটির ফাঁদ। তবে কোনও জিনিসই মাত্রাতিরিক্ত খাওয়া ভাল নয়। যেমন অত্যধিক পরিমাণে কলা খেলে দেহে ফাইবার বেশি হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। যার ফলে হতে পারে ছোট-বড় পেটের সমস্যা। আয়ুর্বেদ মতে, নিয়মিত ৪০-৪৫ দিন পাকা কলা খেলে আপনি অনেক স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে পারেন।
