আজকাল ওয়েবডেস্ক: কাজের চাপে নিজের যত্ন করার সময়ই নেই? কিন্তু তা বললে তো হবে না। নিজের যত্নে একটু সময় বের করতেই হবে। তাই কম সময়ে, চটজলদি ঘরোয়া টোটকায় করুন মুশকিল আসান।


নখের যত্নে তুলসি

ভারতে তুলসির ব্যবহার ঘরে ঘরে। যাঁরা আয়ুর্বেদ মেনে চলেন, তাঁরা তো বটেই, এমনকী যাঁরা মানেন না তাঁদের কাছেও তুলসি পাতার গুণাগুণ অজানা নয়। তবে জানেন কি শুধু শরীর ভাল রাখতেই নয়, নখের যত্নেও তুলসি পাতা খুবই উপকারী। কীভাবে?

তুলসি পাতার রস সরাসরি নখে লাগান। তুলসি পাতা বেটে নখের চারপাশে লাগাতে পারেন। রাতে শোওয়ার আগে তুলসি পাতার তেল নখে মালিশ করুন। এছাড়াও তুলসি পাতার পেস্ট বানিয়ে তার মধ্যে সামান্য লেবুর রস মিশিয়েও ব্যবহার করা যেতে পারে। নিয়মিত তুলসি পাতা ব্যবহার করলে নখ সুস্থ ও সুন্দর থাকে।

 

ত্বকের জেল্লা ফেরাতে এলাচ


শুধু রান্নার স্বাদ-গন্ধ বাড়াতে নয়,  ত্বকের জেল্লা বাড়াতেও এলাচ লা জবাব।  নিয়মিত এই মশলার জল খেলে ত্বকের সমস্যা দূরে পালাবে।  ২-৩টে ছোট এলাচের দানা নিন। ১ লিটার জলে এলাচের দানা ফুটিয়ে নিন। এক্ষেত্রে এলাচের গুঁড়োও নিতে পারেন।  এরপর জলটা ছেঁকে নিয়ে লেবুর রস ও মধু মেশান । দিনের শুরুতে এই এলাচের জল খান । তাছাড়া সারাদিনের যে কোনও সময়ে এলাচ ভেজানো জল খেতে পারেন। 

এলাচের জল ব্রণ উৎপাদনকারী ব্যাকটেরিয়ার সঙ্গে লড়াই করে এবং ত্বকের প্রদাহ কমায়। শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। ফলে হজম ক্ষমতা বাড়ে, দ্রত কমে ত্বকের সমস্যাও। 


চুলের যত্নে ভাতের ফ্যান


ভাতের ফ্যান বা মাড় ফেলে না দিয়ে বিভিন্ন দৈনন্দিন কাজেও ব্যবহার করা যায়। ফেলে না দিয়ে কী কী উপায়ে ব্যবহার করতে পারেন ভাতের ফ্যান-

চুলের যত্নে: ভাতের ফ্যান প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে কাজ করে। ফ্যানের সঙ্গে এক টুকরো লেবুর রস মিশিয়ে একটা বোতলে রেখে দিন‌। শ্যাম্পু করার পর এটি চুলে ভাল করে স্প্রে করে দশ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটি চুলকে নরম ও মসৃণ করে। চুল পড়া কমাতে ভাতের ফ্যান ব্যবহার করা যায়। চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াতেও ভাতের ফ্যান খুব ভাল কাজ করে।


ত্বকের যত্নে: ভাতের ফ্যান প্রাকৃতিক টোনার হিসেবে কাজ করে। ফ্যান ভাল করে একটা সুতির কাপড়ে ছেঁকে তার সঙ্গে গোলাপ জল মিশিয়ে একটা কাচের বোতলে রেখে দিন। এই টোনার ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। রোদে পোড়া ত্বকের জ্বালা কমাতে ভাতের ফ্যান ব্যবহার করা যায়। ব্রণ ও ফুসকুড়ির সমস্যা দূর করতেও ভাতের ফ্যান উপকারী।

 

চোখের নিচে কালি উপশমে লেবু-দই


চোখের নিচে মধু ও লেবুর রস ব্যবহার করতে পারেন। একটি বাটিতে ১ চামচ মধু ও ১ চামচ লেবুর রস ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। তারপর এই পেস্টটি চোখের নিচে ম্যাসাজ করুন ২ থেকে ৩ মিনিট। এরপর ঠাণ্ডা জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার এই পেস্ট লাগালে আপনার চোখের সৌন্দর্য আবার ফিরে পাবেন। 


এছাড়াও দু'চামচ দই নিতে হবে, তারপর এটিকে একটি সুতির কাপড়ে রেখে জল বের করে নিতে হবে। এরপর এটিকে একটু ছোট পাত্রে রেখে এক চিমটি হলুদ এবং কফি দিয়ে ভালভাবে মেশাতে করতে হবে। এরপর এই মিশ্রণ চোখের চারপাশে লাগাতে হবে। এবার ৫ মিনিট রেখে দিতে হবে। শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার করে মুছে নিতে হবে। এরপর আমন্ড অয়েল দিয়ে চোখ ম্যাসাজ করতে হবে। এতে রক্ত সঞ্চালন ভাল হবে।