আজকাল ওয়েবডেস্কঃ দূর্বা ঘাসের ধর্মীয় গুরুত্ব অপরিসীম। প্রায় সব পুজোয় এই ঘাসের ব্যবহার করা হয়। কিন্তু জানেন কি এর অনেক ঔষধি গুণাগুণও রয়েছে? শুধু স্বাস্থ্য বজায় রাখতে নয়, অনেক জটিল রোগকেও তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেয় এই অবহেলিত আগাছা। খুব কম লোকই জানেন যে হিন্দু আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা ছাড়াও, যৌন রোগ, লিভারের রোগ, কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো অনেক সমস্যার চিকিৎসায় ঘাসকে একটি ওষুধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়। জেনে নিন আর কী কী গুণাগুণ রয়েছে।
দূর্বা ঘাসের স্বাদ কষা-মিষ্টি। এতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়। এটি খাওয়া শুধুমাত্র মুখের ঘা নিরাময়েই নয়, অনেক ধরনের পিত্ত ও কোষ্ঠকাঠিন্যের রোগ নিরাময়েও সাহায্য করে। পাকস্থলী, যৌন ও যকৃত সংক্রান্ত রোগের জন্য এই ঘাস কার্যকর বলে বিবেচিত হয়।
দূর্বা ঘাস শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে। এতে উপস্থিত অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল বৈশিষ্ট্য রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করার ক্ষমতা বাড়ায়। এতে উপস্থিত অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি এবং অ্যান্টি-সেপটিক বৈশিষ্ট্যের কারণে এটি ত্বকের সমস্যায় উপকারী। এটি খেলে ত্বকের সমস্যা যেমন চুলকানি, ত্বকের ফুসকুড়ি এবং একজিমার মতো সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এর জন্য হলুদের সঙ্গে এই ঘাস পিষে পেস্ট তৈরি করে ত্বকে লাগালে এই সমস্ত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। দূর্বার রস পান করলে বারবার জল তেষ্টা পায় না। এ ছাড়া ব্যক্তি অবাধে প্রস্রাব করলে এবং রক্তে উপস্থিত অপ্রয়োজনীয় তাপ ঠান্ডা হয় এবং ত্বক সংক্রান্ত রোগ থেকেও দূরে থাকে।
দুর্বল জীবনযাপনের কারণে প্রতি দ্বিতীয় ব্যক্তি রক্তশূন্যতার শিকার হচ্ছেন। এই ধরনের রোগে আক্রান্ত হলে দূর্বার রস অমৃত হতে পারে। আসলে এর রসকে সবুজ রক্তও বলা হয়, কারণ এটি পান করলে রক্তশূন্যতার সমস্যা দূর হয়। রক্ত বিশুদ্ধ করার পাশাপাশি এটি শরীরের লোহিত রক্ত কণিকা বাড়াতেও কাজ করে। এটি খেলে শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বেড়ে যায়। সকাল বেলা খালি পায়ে দূর্বা ঘাসের ওপর দিয়ে হাঁটলে চোখের জ্যোতি বাড়ে। এছাড়া, সকালে এর তাজা রস খেলে মানসিক রোগে অসাধারণ উপকার পাওয়া যায় এবং চর্মরোগ থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। শরীরের কোনও স্থান কেটে গেলে দূর্বা ঘাস পিষে আক্রান্ত স্থানে প্রলেপ দিলে রক্ত পড়া সঙ্গে সঙ্গেই বন্ধ হয়। এক্ষেত্রে দূর্বার শিকড় ব্যবহার করলে বেশি উপকার পাওয়া যায়।
বমি বমি ভাব বন্ধের জন্য দূর্বা ঘাসের রস ২-৩ চামচ অল্প চিনির সঙ্গে মিশিয়ে ১ ঘণ্টা পর পর খেলে বমি ভাব খুব সহজেই নির্মূল হয়। তবে বমিভাব কেটে গেলে খাওয়া বন্ধ করে দিতে হবে। দূর্বা ঘাস মহৌষধ। মুখ, নাক ছাড়াও শরীরের বিভিন্ন অংশ দিয়ে রক্ত পড়তে থাকলে দূর্বা ঘাসের রসের সঙ্গে কাঁচা দুধ মিশিয়ে খাওয়ালে রোগের উপশম হয়। দূর্বা ঘাস শরীরের রেচনতন্ত্রের স্বাভাবিকতা ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে। প্রস্রাবে কষ্ট হলে দূর্বার রস দুধ ও জল মিশিয়ে খেলে উপকার মেলে। ঘাসের উপর প্রতিদিন হাঁটলে পায়ের তলায় প্রাকৃতিকভাবে ম্যাসাজ হয়। ফলে পায়ের তলায় ব্যথা-বেদনা অনেকটা কমে। এছাড়া পায়ের লিগামেন্ট এবং পেশি শক্তিশালী হয়। দূর্বা ঘাসের স্বাদ কষা-মিষ্টি। এতে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, পটাসিয়াম পর্যাপ্ত পরিমাণে পাওয়া যায়।
