টিনসেল টাউনে খবর অফুরান। বিনোদনের সমস্ত খবর জানতে যদি চান, চোখ রাখুন নজরে বিনোদনে। জেনে নিন সারাদিনের গরমাগরম খবর কী?

দীপিকার ‘ভুল’ সিদ্ধান্ত

দীপিকা পাড়ুকোন তাঁর ১৮ বছরের কেরিয়ারে ৩৩টি ছবিতে অভিনয় করেছেন। এক সাক্ষাৎকারে দীপিকা ব্যাখ্যা করেন, কেরিয়ারের এই পর্যায়ে তিনি কোন বিষয়গুলোকে গুরুত্ব দেন। তিনি বলেন, “আমি সততার সঙ্গে আপোশ করব না। যা আমার সত্যি বলে মনে হয় না, তা আমি করি না। অনেক সময় মানুষ প্রচুর টাকার প্রলোভন দেয় এবং ভাবে সেটাই যথেষ্ট, কিন্তু তা নয়। উল্টো দিকটাও সত্য—কিছু প্রকল্প হয়তো বাণিজ্যিকভাবে বড় নয়, কিন্তু তার মানুষগুলো বা বার্তায় আমার বিশ্বাস থাকে, আর আমি তখন সেটার পাশে দাঁড়াই।”

দীপিকা এরপর স্বীকার করেন যে এই স্বচ্ছতা তাঁর সব সময় ছিল না। “আমি কি সবসময় এতটা স্বচ্ছ ছিলাম? হয়তো না। কিন্তু এখন সেই স্বচ্ছতা পেয়েছি। মাঝে মাঝে কি ফিরে তাকিয়ে ভাবি, ‘আমি তখন কী ভেবেছিলাম?’ অবশ্য এটা শেখারই অংশ। হয়তো আজ থেকে ১০ বছর পর আমি আজকের সিদ্ধান্তগুলো নিয়েও প্রশ্ন তুলব। কিন্তু এই মুহূর্তে এগুলোই আমার কাছে সৎ মনে হয়,” যোগ করেন দীপিকা।

কুনিকার চোখে জল

‘বিগ বস ১৯’এর ঘরে খুশির হাওয়া। প্রতিযোগীদের পরিবার–পরিজনরা শোয়ে যোগ দেওয়ায় নিয়মিত ঝগড়া–বিবাদকে ছাপিয়ে আবেগঘন মুহূর্তগুলো সামনে আসে। অভিনেত্রী কুনিকা সদানন্দ নিজের নাতনিদের দেখে আনন্দে-আবেগে কেঁদে ফেলেন।

দুই নাতনি দৌড়ে এসে কুনিকার দিকে ছুটে যায়। খেলাটির নিয়ম অনুযায়ী তখন ‘ফ্রিজ’ অবস্থায় থাকা কুনিকাকে নড়াচড়া করতে নিষেধ করা হয়েছিল। বিগ বস তাঁকে ‘আনফ্রিজ’ করার সঙ্গে সঙ্গে তিনি নাতনিদের শক্ত করে জড়িয়ে ধরেন। এবং তাঁর চোখে জল দেখা যায়।

১৭ নভেম্বর সম্প্রচারিত পর্বে প্রতিযোগী কুনিকার ছেলে অয়ন লাল ‘বিগ বস’এর ঘরে প্রবেশ করেন। পরে প্রতিযোগী প্রণীত মোরের সঙ্গে এক হৃদয়স্পর্শী কথোপকথনে অয়ন জানান, প্রথমবার ‘বিগ বস’এ মাকে দেখার অনুভূতি কেমন ছিল। এতদিন তাঁর থেকে দূরে থাকার অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে কতটা কঠিন ছিল, সে কথাও বলেন তিনি।

ঋদ্ধিমার ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা 

রণবীর কাপুরের দিদি এবং সুপরিচিত জুয়েলারি ডিজাইনার ঋদ্ধিমা কাপুর সাহানি সম্প্রতি ১৪ বছর বয়সি মেয়ে সামারা সাহানিকে নিয়ে বিমানযাত্রার সময় ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হন। তিনি জানান, বিমানের চাকা রানওয়েতে স্পর্শ করার পর হঠাৎই তা আবার আকাশে উড়ে যায়—যা যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি করে। ঋদ্ধিমা বলেন, সেই মুহূর্তে তিনি এবং সামারা ভয়ে যেন স্থবির হয়ে গিয়েছিলেন।

ইনস্টাগ্রাম স্টোরিতে ঋদ্ধিমা লিখেছেন, ‘আজ আমি এবং আমার মেয়ে এমন এক মুহূর্তের মধ্য দিয়ে গেলাম, যা কখনও ভুলতে পারব না। আমাদের প্লেনটি একবার নামার পর হঠাৎই আবার উপরে উঠে গেল। কয়েক সেকেন্ডের জন্য আমাদের দু’জনেরই হৃদস্পন্দন যেন থেমে গিয়েছিল। সামারা ভয়ে আমার দিকে তাকিয়ে ছিল, আর আমি তার হাত শক্ত করে ধরে তাকে সাহস দেওয়ার চেষ্টা করছিলাম নিজের শ্বাস-প্রশ্বাস সামলাতে সামলাতেই।’

তিনি আরও জানান, এখন তিনি এবং সামারা দু’জনেই নিরাপদ আছেন। যদিও ঘটনার মুহূর্তটি তাদের মানসিকভাবে নাড়িয়ে দিয়েছিল। ঋদ্ধিমা বলেন—“শেষ পর্যন্ত নিরাপদে থাকা–ই সবচেয়ে বড় ব্যাপার।”