আজকাল ওয়েবডেস্কঃ বাঁধাকপি একটি অত্যন্ত উপকারী সবজি। শীতে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই রান্নাঘরে এই সবজির রাজত্ব। এতে রয়েছে ফাইবার, ফোলেট, ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ভিটামিন এ, সি, কে থেকে শুরু করে একাধিক জরুরি উপাদান। তাই শরীর ও স্বাস্থ্যের হাল ফেরাতে মাঝে মধ্যে বাঁধাকপি খেতেই পারেন।
কিন্তু দিনে রাতে বাঁধাকপি খেতে শুরু করলে সমস্যাও হতে পারে প্রচুর। এই সবজিতে রয়েছে ব়্যাফিনোজ নামক একটি সুগার। যা এক ধরনের কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট। ফলে আমাদের মধ্যে অনেকের শরীরই এই উপাদান সহজে হজম করতে পারে না। আর সেই সুবাদেই বাতকর্মের প্রকোপ বাড়ে। তাই অবাঞ্ছিত এই সমস্যার সন্মুখীন হওয়ার থেকে লোভ সামলে চলতে পারলে ভাল। হাইপোথাইরয়েডিজমের মতো অসুখও মাথাচাড়া দিতে পারে এই সবজি বেশি খেলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সবজিতে রয়েছে গ্লুকোসিনোলেটস নামক একটি উপাদান যা কিনা থাইরয়েড গ্রন্থির কাজকর্মে বাধা দেয়। আর সেই কারণেই হাইপোথাইরয়েডের মতো জটিল অসুখে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা বাড়ে। তাই এই ভয়ংকর রোগের থেকে দূরত্ব বাড়াতে চাইলে আজ থেকেই বাঁধাকপি সংযত হয়ে খান।
ডায়াবিটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী এই সবজি। তবে এহেন উপাদেয় একটি সবজিও প্রতিদিন অত্যধিক পরিমাণে খেলে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বা সুগার ফল করার আশঙ্কা কয়েকগুণ বাড়ে বৈকি। তাই সুগার রোগীরা ভুলেও রোজ রোজ বাঁধাকপি খাবেন না। এই ভুলটা করলে যে আদতে বিপদের আশঙ্কা বাড়বে।
হার্টের অসুখ, স্ট্রোক সহ একাধিক জটিল অসুখে আক্রান্তদের নিয়মিত রক্ত তরল খাওয়ার ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। ব্লাড থিনার খেলে কিন্তু কোনও মতেই নিয়মিত বাঁধাকপি খাওয়া যাবে না। কারণ এই সবজিতে রয়েছে ভিটামিন কে-এর ভাণ্ডার। আর এই উপাদান কিন্তু রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে। যার ফলে ব্লাড থিনার ওষুধটি ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাই এইসব রোগে ভুক্তভোগীদের নিয়মিত বাঁধাকপি খেতে বারণ করেন বিশেষজ্ঞরা।
কোনও ব্যক্তির যদি এই সবজি থেকে অ্যালার্জি থাকে, তা হলে তাঁরা ফুলকপি বা বাধাকপি খাওয়া এড়িয়ে যান। সাধারণত কোনও কোনও ব্যক্তির কপিতে অ্যালার্জি হয়। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এই সবজিগুলি খাবেন না। মধুমেহ রোগীদের রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়াতে পারে কপি। ডায়বিটিজ থাকলে কপি খাওয়ার পর রক্ত পরীক্ষা করিয়ে নিন। রক্তে শর্করার স্তরে ওঠা-নামা দেখলে কপি খাওয়া বন্ধ রাখুন। বাঁধাকপি ক্যালশিয়ামে সমৃদ্ধ। তাই কারও গলব্ল্যাডার বা কিডনিতে পাথর থাকলে, তাঁরা কপি খাবেন না। কারণ এর ফলে শরীরে ক্যালশিয়ামের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে এবং পাথরের পরিমাণও বৃদ্ধি পাবে। অন্য দিকে ইউরিক অ্যাসিড বেশি থাকলে কপি খাবেন না। কারণ এর ফলে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বৃদ্ধি পেতে পারে, যা কিডনি বা গলব্ল্যাডারের সমস্যা বাড়িয়ে দেবে।
