আজকাল ওয়েবডেস্কঃ সুস্বাদু রান্নায় ব্যবহৃত সবজির তালিকায় একবারে উপরের দিকে নাম রয়েছে ক্যাপসিকামের। তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন, অবহেলার শিকার হওয়া এই সবজির কিন্তু একাধিক গুণ রয়েছে। এতে আছে ভিটামিন, খনিজ ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টের ভাণ্ডার। তাই দেহের একাধিক অঙ্গের উন্নতিসাধনে বিশেষ ভূমিকা নেয় ক্যাপসিকাম। কিন্তু এরপরও বাঙালি রান্নায় এই সবজির তেমন ব্যবহার নেই।পুষ্টিবিদদের মতে, ক্যাপসিকামের মতো সবজির ব্যবহার যতটা সম্ভব বাড়াতে হবে। বিভিন্ন পদে এর ব্যবহার শুরু করা প্রয়োজন। 

সবুজ ক্যাপসিকাম অনেক ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ। অন্যদিকে, হেলথলাইন ডটকমের মতে, সবুজ ক্যাপসিকাম খাওয়ার ৬ টি অনন্য উপকারিতা রয়েছে। তাহলে জেনে নেওয়া যাক সবুজ ক্যাপসিকাম খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। ক্যাপসিকাম সেবন অন্ত্রের জন্য খুবই উপকারী। আসলে সবুজ ক্যাপসিকামে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। যা খেলে শরীরের পরিপাকতন্ত্র মজবুত হয় এবং অন্ত্রে ক্যান্সারের মতো রোগ হওয়ার আশঙ্কা থাকে না। 
এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। সবুজ ক্যাপসিকামকে ভিটামিন সি-এর সেরা উৎস হিসেবেও বিবেচনা করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে সবুজ ক্যাপসিকাম খেলে উচ্চ রক্তচাপ, ক্যান্সার ও হৃদরোগের ঝুঁকি কমে।

ক্যাপসিকামে রয়েছে সবজিতে রয়েছে লিউটিন ও জিয়াজ্যানথিন। এই দুই ক্যারোটিনয়েড চোখের জন্য ভীষণই উপকারী। ক্যাপসিকাম নিয়মিত খেলে বাতের সমস্যা কমে যায়। এটি জয়েন্টের ব্যথায়ও আরাম দেয়। কুইনাইন এর সাথে ক্যাপসিকাম খাওয়া আরও বেশি উপকারী। 

ত্বক পরিষ্কার রাখতে ক্যাপসিকাম বেশ উপকারী। ত্বকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রোগের ক্ষেত্রে ক্যাপসিকাম রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে ত্বকের ব্রণ ও র‍্যাশের হাত থেকে রক্ষা করে। লাল ক্যাপসিকাম যে কোনও ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। ক্যাপসিকাম খেলে মাথার তালুর রক্ত চলাচল বজায় রাখতে সাহায্য করে। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে ক্যাপসিকাম। খনিজের অভাব পূরণ করে। পটাশিয়াম বেশি থাকার কারণে বয়স্কদের জন্য লাল ক্যাপসিকাম খাওয়াই ভালো। বিভিন্ন উপকরণ বেশি থাকার কারণে বাজারে লাল ক্যাপসিকামের চাহিদাও বেশি। 

সবুজ ক্যাপসিকামে ক্যাপসাইসিনস নামক উপাদান ডিএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানকে নষ্ট করে। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। মাইগ্রেন, সাইনাস, ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে কাজ করে।