আজকাল ওয়েবডেস্ক : লাল, সবুজ ও হলুদ রঙের ক্যাপসিকাম স্বাস্থ্যের দিক থেকে খুবই উপকারী। ভিটামিন সি, ভিটামিন এ এবং বিটা-ক্যারোটিনের এটি প্রধান উৎস। প্রধানত শাকসবজি, নুডুলস এবং সাজসজ্জার জন্য ব্যবহার করা ক্যাপসিকাম অনেকে আবার স্যালাড রূপে খেতেও পছন্দ করেন। ক্যাপসিকামে ক্যালরির পরিমাণ নগণ্য, যার কারণে কোলেস্টেরল বাড়ে না। চোখের জন্য অনেক উপকারী এই সবজি। এ ছাড়াও ক্যাপসিকামের আরও অনেক উপকারিতা রয়েছে। এই সবজির অপর নাম বেল পেপার। অতিরিক্ত তাপমাত্রায় ক্যাপসিকাম রান্না করলে এর ভিটামিন সি অনেকটাই নষ্ট হয়ে যায়। বরং কাঁচা বেল পেপার স্যালাডে খেলেই এর পুষ্টিগুণ পুরোপুরি পাওয়া যায়। স্টার-ফ্রাই মেথডেও বেল পেপার রান্না করে খেতে পারেন। উচ্চ তাপমাত্রায় বেশিক্ষণ রান্না না করাই ভালো। এতে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টসও ভরপুর থাকে, যা শরীরের জন্য খুবই উপকারী। ভিটামিন ই, এ-ও পাওয়া যায় ক্যাপসিকাম থেকে। তাই চোখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতেও বেল পেপার সহায়ক। একই সঙ্গে চুল ও ত্বকের জন্যও খুব ভালো। হাড় ও হার্ট দুই-ই ভালো রাখে। পটাসিয়াম, ফোলেট ইত্যাদি উপাদানও প্রচুর পরিমাণে পাওয়া যায় বেল পেপারে।

ত্বক পরিষ্কার রাখতে ক্যাপসিকাম বেশ উপকারী। ত্বকের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত রোগের ক্ষেত্রে ক্যাপসিকাম রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বৃদ্ধি করে। বিশেষ করে ত্বকের ব্রণ ও র‍্যাশের হাত থেকে রক্ষা করে। লাল ক্যাপসিকাম যে কোনও ব্যথা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। ক্যাপসিকাম খেলে মাথার তালুর রক্ত চলাচল বজায় রাখতে সাহায্য করে। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে ক্যাপসিকাম। খনিজের অভাব পূরণ করে। পটাশিয়াম বেশি থাকার কারণে বয়স্কদের জন্য লাল ক্যাপসিকাম খাওয়াই ভালো। বিভিন্ন উপকরণ বেশি থাকার কারণে বাজারে লাল ক্যাপসিকামের চাহিদাও বেশি। 

সবুজ ক্যাপসিকামে ক্যাপসাইসিনস নামক উপাদান ডিএনএর সঙ্গে যুক্ত হয়ে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী উপাদানকে নষ্ট করে। এটি ক্যান্সার প্রতিরোধে কাজ করে। মাইগ্রেন, সাইনাস, ইনফেকশন, দাঁতে ব্যথা, অস্টিওআর্থ্রাইটিস ইত্যাদি ব্যথা দূর করতে কাজ করে। সবুজ ক্যাপসিকাম শরীরের বাড়তি ক্যালরি পূরণেও কাজ করে।