আজকাল ওয়েবডেস্কঃ গরম ভাতে এক চামচ ঘি, আলু সেদ্ধ আর কাঁচা লঙ্কা থাকলে আর কিছু দরকার পড়ে না। এমনকি ডাল বা পোলাওতেও ঘি দিলে স্বাদ বদলে যায়। স্বাস্থ্যের জন্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান যেমন খনিজ, ভিটামিন, স্বাস্থ্যকর চর্বি, অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট ইত্যাদি পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘিতে পাওয়া যায়। তাই ঘি খেলে পুষ্টি হবেই। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যামাইনো অ্যাসিড ঘিতে পাওয়া যায়। এগুলো,  চুলকে মজবুত ও নরম ও চকচকে রাখে। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বক উজ্জ্বল করতে প্রতিদিন খালি পেটে ঘি খেতে পারেন। এতে পাওয়া পুষ্টিগুণ ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর বলে বিবেচিত হয়। যুগ যুগ ধরে, ভারতীয় রান্নাঘরে খাবারকে সুস্বাদু করতে এবং স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ঘি ব্যবহার হয়। ঘি ভারতীয় উপমহাদেশে উদ্ভূত হওয়া পরিশোধিত মাখন। খাবারের স্বাদ- গন্ধ বৃদ্ধিতে রান্নায় ঘি বহুদিন ধরে ব্যবহৃত হয়ে আসছে। রান্নায় স্বাদ বাড়াতে ঘি-এর তুলনা নেই। দেশি ঘি খাওয়ার উপকারিতা অনেক বেশি। ঘিতে স্বাস্থ্যকর চর্বি থাকে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।

ঘিতে রয়েছে কনজুগেটেড লিনোলিক অ্যাসিড যা এক ধরনের ফ্যাটি অ্যাসিড এবং চর্বি কমাতে সাহায্য করে। একটি গবেষণায় দেখানো হয়েছে যে  শরীরের চর্বি কমাতে এবং ওজন বৃদ্ধি রোধ করতে সাহায্য করে।  চর্বি গলতে এবং চর্বি কোষের আকার কমাতে সাহায্য করে। যদি আপনার শরীরে চর্বি দ্রুত জমতে শুরু করে, তাহলে নিশ্চিন্তে ঘি খান। পাচনতন্ত্রের উন্নতির পাশাপাশি ওজন কমাতেও সাহায্য করে। ঘি খাওয়া আপনাকে কোষ্ঠকাঠিন্য এবং অ্যাসিডিটির মতো সমস্যা থেকে দূরে রাখে। এছাড়াও, ঘি দিয়ে যে কোনও খাবার খেলে, এতে উপস্থিত পুষ্টির শোষণ বাড়ে, ফলে শরীর পর্যাপ্ত পুষ্টি পায়। 
রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকায় হার্ট সংক্রান্ত অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনে দ্বারা প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুসারে, ঘি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে। রক্তে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকায় হার্ট সংক্রান্ত অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। ন্যাশনাল সেন্টার ফর বায়োটেকনোলজি ইনফরমেশনে দ্বারা প্রকাশিত বৈজ্ঞানিক গবেষণা অনুসারে, ঘি কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করতে পারে।

ঘি খেলে খিদে কমে যায় এবং অনেকক্ষণ পেট ভরা থাকে। এটি বারবার খিদে পাওয়া থেকে বাধা দেয় , ফলে অতিরিক্ত খাবার খাওয়া যায় না। এছাড়াও, ঘি খেলে শরীর দীর্ঘ সময় সতেজ থাকে।

যাঁদের পেটের সমস্যা প্রায়ই হয় তাঁদের ঘি থেকে একটু দূরে থাকাই শ্রেয়। অনেকেরই হজমের সমস্যা খুব ঘন ঘন হয়, বা পেট খারাপ হয় প্রায়ই। ঘি তাঁদের জন্য নয়। ডায়েটে ঘি যোগ করার আগে অবশ্যই তাঁদের উচিত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া। অপরিমিত ঘি খেয়ে ফেললে তাঁদের সহজেই পেট ফোলা, বমি বা বদহজমের আশঙ্কা থেকে যায়। এছাড়া গলব্লাডারের সমস্যা বা গ্যাসের সমস্যা হতে পারে।