আজকাল ওয়েবডেস্ক: অনেকেরই ধারণা, জিনগতভাবে কোরিয়ানরা স্বচ্ছ, চকচকে ত্বক পেয়ে থাকেন। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণভাবে সঠিক নয়। কোরিয়ানরা রূপচর্চা খুব নিখুঁতভাবে করে থাকেন। সঙ্গে তাঁদের সঙ্গী স্বাস্থ্যকর ডায়েট ও লাইফস্টাইল। রূপচর্চায় কোরিয়ান মহিলারা কমবেশি ১০টি ধাপ মেনে চলেন। যদিও এই ১০টি মানতে কয়েক মিনিটের বেশি সময় লাগে না। আর সব কটিই যে প্রতিদিন করতে হবে, এমনটাও না। কোরিয়ানদের মতো ত্বক পেতে নিয়মিত কীভাবে ত্বকের যত্ন নেবেন, জেনে নিন-
১. অয়েল ভিত্তিক ক্লেনজার- কোরিয়ানরা ত্বক পরিষ্কার করতে ডাবল ক্লিনজিং করেন। ত্বক থেকে ময়লা, মেকআপ সহ সমস্ত ক্ষতিকারক পদার্থ সরাতে ডাবল ক্লিনজিং খুবই উপকারী। যার মধ্যে প্রথমে অয়েলভিত্তিক ক্লিনজার দিয়ে ত্বক পরিষ্কার করতে হবে। বিশেষ করে মেকআপ তুলতে খুব ভাল কাজ দেয়।
২. ওয়াটার ভিত্তিক ক্লিনজার- ওয়াটার-বেসড ক্লিনজার দিয়ে ভাল করে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। এতে একেবারে ভিতর থেকে পরিষ্কার হয়ে যায় ত্বক।
৩. এক্সফোলিয়েট- বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কোষের প্রক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। মৃত কোষ বাড়ায় উজ্জ্বলতা কমতে থাকে। তাই সপ্তাহে দু-তিন দিন মরা কোষ দূর করতে এক্সফোলিয়েট করেন কোরিয়ানরা।
৪. টোনার- চতুর্থ পদক্ষেপে টোনার ব্যবহার করতে হবে। টোনার ত্বকের পিএইচ ভারসাম্য বজায় রাখার পাশাপাশি আর্দ্রতাও নিয়ে আসে। ডাবল ক্লিনজিংয়ে ত্বক পরিষ্কার করার সময় ত্বকের রোমকূপ খুলে যায়, টোনার সেই রোমকূপকে বন্ধ করে বজায় রাখে ত্বকের ভারসাম্য।
৫. এসেন্স- খুব হালকা জলীয় প্রোডাক্ট এসেন্স ত্বকে হাইড্রেশনের অতিরিক্ত স্তর তৈরি করে। সিরাম ব্যবহারের আগে এসেন্স লাগান কোরিয়ানরা। এসেন্স বা নির্যাস ত্বকে আর্দ্রতা যোগ করে।
৬. সিরাম- এই ধাপে ত্বকের রঙে অসামঞ্জস্য, ব্রণ ইত্যাদি সমস্যা অনুযায়ী সিরাম ব্যবহার করেন কোরিয়ানরা। কে–বিউটি রুটিনের এই ধাপ বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কোরিয়ান স্কিনকেয়ারের ভিত্তি হল হাইড্রেশন। ত্বককে সারাদিনই পরিষ্কার, ঝকঝকে এবং প্রাণবন্ত রাখতে কোরিয়ানরা ত্বক অনুযায়ী বিশেষভাবে সিরাম বাছাই করেন।
৭. শিট মাস্ক- শিট মাস্ক ত্বকে আর্দ্রতা যোগ করতে সাহায্য করে। সপ্তাহে ১-৩ বার শিট মাস্ক ব্যবহার করা যায়। কোরিয়ায় অনেকে প্রায় প্রতিদিন এই মাস্ক ব্যবহার করেন। ১৫-২০ মিনিট শিট মাস্ক ব্যবহার করলেই চেহারায় চলে আসে ইতিবাচক পরিবর্তন।
৮. আই ক্রিম- চোখের চারপাশের ত্বক সবচেয়ে পাতলা। এই জায়গার আর্দ্রতা খুব দ্রুত হারিয়ে যায়। তাই ত্বক কুঁচকে যাওয়া বা বলিরেখা পড়ার মতো সমস্যা চোখের চারপাশে প্রথমেই নজরে আসে। হালকা বা ভারী, পছন্দমতো যে কোনও আই ক্রিম বেছে নিতে পারেন।
৯. ময়েশ্চারাইজার- পরবর্তী ধাপ হল ময়শ্চারাইজার। ত্বককে আর্দ্রতা দিতে ময়শ্চারাইজার খুবই জরুরি। ত্বকের ধরন অনুযায়ী ময়েশ্চারাইজার বাছাই করতে হবে।
১০. সানস্ক্রিন- কোরিয়ার রূপচর্চায় এটি আবশ্যক ধাপ। কোরিয়ান সানস্ক্রিন বর্তমানে বিশ্বব্যাপী বেশ জনপ্রিয়। তার প্রধান কারণ হালকা বা লাইটওয়েট ফর্মুলা। এটি ত্বকে ভারী বা চটচটে অনুভূতি দেয় না। এই সানস্ক্রিন ত্বকের ধরণ অনুসারে আলাদা হয়ে থাকে। যেমন, তৈলাক্ত, শুষ্ক বা ব্রণ প্রবণ ত্বকের জন্য উপযোগী করে আলাদা আলাদা সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন কোরিয়ানরা।
