আজকাল ওয়েবডেস্ক: মে মাসের শুরুতেই এবার গরমের ছুটি পড়ছে বিভিন্ন সরকারি স্কুলে। আর গ্রীষ্মাবকাশ মানেই শহরের গরম ছেড়ে দূরে পাহাড়ের কোলে কোথাও ঘুরে আসার জন্য উদগ্রীব হয়ে ওঠে মন। তাহলে দেরি না করে গুছিয়ে নিন ব্যাগপত্তর, ঘুরে আসুন চেনা অচেনা মনোরম শৈলশহর নৈনিতাল।

গরমের ছুটিতে ঘুরতে যাওয়ার জন্য একটি আদর্শ গন্তব্য জিম করবেটের স্মৃতিধন্য নৈনিতাল। আসলে তাল কথাটির অর্থ হ্রদ। নৈনি নামের একটি হ্রদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে এই শৈলশহর। হিন্দু ধর্মমতে সতীর ৫১ পীঠের অন্যতম এটি। নৈনি হ্রদে সতীর একটি চোখ পড়ে বলে বিশ্বাস করেন স্থানীয়েরা। তাই অনেকেই তীর্থ দর্শনের জন্য এখানে যান।

কীভাবে যাবেন
বিমানে যেতে চাইলে নৈনিতালের নিকটতম বিমানবন্দর পন্তনগর, যা নৈনিতাল থেকে প্রায় ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বিমানবন্দর থেকে ট্যাক্সি বা বাসে নৈনিতাল যাওয়া যায়। ট্রেনে গেলে নিকটতম রেলস্টেশন কাঠগোদাম। স্টেশন থেকে নৈনিতালের দূরত্ব ৩৫ কিলোমিটার। এছাড়াও দিল্লি, দেরাদুন, হরিদ্বার এবং অন্যান্য নিকটবর্তী শহর থেকে নৈনিতালের জন্য সরাসরি বাস সার্ভিস রয়েছে।

কোথায় থাকবেন?
নৈনিতাল খুবই জনপ্রিয় পর্যটনস্থল। এখানে সব বাজেটের হোটেল পাওয়া যায়। বিলাসবহুল হোটেলের মধ্যে রয়েছে দ্য নৈনি রিট্রিট, আইটিসি, পাইন ট্রি ইত্যাদি। বিভিন্ন গেস্ট হাউস ও হোমস্টেতেও থাকার ভাল ব্যবস্থা আছে।

নৈনিতালের দর্শনীয় স্থান
নৈনিতালের কেন্দ্রবিন্দু নৈনি হ্রদ। হ্রদের চারপাশের মনোরম দৃশ্য মনোমুগ্ধকর। হ্রদে বোটিং এবং নৌকাবিহারের সুযোগ রয়েছে। নৈনি লেকের উত্তর প্রান্তে রয়েছে নৈনি দেবীর মন্দির। প্রতি বছর বহু পুণ্যার্থী এই মন্দির দর্শনে আসেন। নৈনিতালের কাছেই রয়েছে টিফিন টপ নামের ভিউ পয়েন্ট। নৈনিতাল শহর ও চারপাশের পাহাড় দেখা যায় এই ভিউ পয়েন্ট থেকে। হেঁটে অথবা ঘোড়ায় চেপে এখানে যাওয়া যায়। নৈনিতালের পণ্ডিত জি.বি. পন্থ চিড়িয়াখানাও পর্যটকদের কাছে বেশ জনপ্রিয়। অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের জন্য রয়েছে স্নো ভিউ পয়েন্ট নামের একটি জায়গা। রোপওয়ের মাধ্যমে এখানে উঠতে হয়। বাচ্চাদের নিয়ে ঘোরার জন্য দারুণ একটি জায়গা কেভ গার্ডেন। এটি ৬টি গুহার সংযোগস্থল। সবশেষে বলতে হয় ম্যাল রোডের কথা। নৈনি লেকের পাশে এই রাস্তাটি সন্ধ্যায় ঘোরার জন্য চমৎকার। এখানে প্রচুর দোকানপাট ও রেস্তোরাঁ রয়েছে।