তিল শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এটি শরীরের জন্যও এক অসাধারণ পুষ্টিকর উপাদান। আয়ুর্বেদ এবং আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান, দুই-ই তিলকে স্বাস্থ্যরক্ষার জন্য অত্যন্ত উপকারী বলে মনে করে। জেনে নেওয়া যাক তিল খাওয়ার কিছু অসাধারণ উপকারিতা।
তিল খাওয়ার প্রধান উপকারিতা
হাড় মজবুত করে
তিলে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফরাস থাকে, যা হাড়ের গঠন এবং শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। এটি অস্টিওপোরোসিস অর্থাৎ হাড় ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়ক।
হৃদযন্ত্রের জন্য ভাল
তিলের মধ্যে থাকা ওমেগা-৩ এবং ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস রক্তে কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণ করে। এবং রক্ত সঞ্চালন উন্নত করে। এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকি কমে যায়।
শক্তি বাড়ায়
তিলে থাকা প্রোটিন, আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম শরীরে শক্তি জোগায়, ক্লান্তি দূর করে এবং সহনশক্তি বৃদ্ধি করে।
মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
তিলে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি৬ ও ই, যা মানসিক চাপ কমাতে, মেজাজ ভালো রাখতে এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়
তিলে থাকা জিঙ্ক এবং অন্যান্য খনিজ পদার্থ শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়, ফলে সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা পাওয়া যায়।
হজম শক্তি উন্নত করে
তিলে প্রচুর ফাইবার থাকে, যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও হজম প্রক্রিয়াকে নিয়মিত রাখে।
ত্বক এবং চুলের যত্নে উপকারী
তিলের অ্যান্টি-অক্সিডেন্টস এবং ভিটামিন ই ত্বকে আর্দ্রতা বজায় রাখে, বার্ধক্যের ছাপ কমায় এবং চুলকে শক্ত ও উজ্জ্বল করে।
ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে
তিল রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে, ফলে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়।
ব্যথা এবং প্রদাহ কমায়
তিলে থাকা অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি গুণ জয়েন্টের ব্যথা, গাঁটের সমস্যা এবং মুখের ফোলা কমাতে সহায়তা করে।
শীতকালে শরীর গরম রাখে
তিলের প্রকৃতি গরম, তাই এটি শীতকালে শরীরকে উষ্ণ রাখে, দুর্বলতা দূর করে এবং শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে।
কীভাবে খাবেন তিল
তিলের লাড্ডু বানিয়ে খেতে পারেন। এটি সুস্বাদু এবং পুষ্টিকরও।
স্যালাড বা তরকারির উপর ছিটিয়ে
তিলের তেল ত্বক এবং চুলের যত্নে
আয়ুর্বেদিক কাথ বা গুঁড়ো আকারে ব্যবহার করা যায়
তিলে থাকা প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন, জিঙ্ক, ম্যাগনেশিয়াম এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের ভিতর থেকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। এবং নানা ধরনের শারীরিক সমস্যার বিরুদ্ধে রক্ষা করে। এটি হাড় মজবুত রাখে, হার্টকে সুস্থ রাখে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে এবং মানসিক চাপ কমায়।
বিশেষ করে শীতকালে তিল শরীরে উষ্ণতা বজায় রাখে, ক্লান্তি দূর করে এবং শক্তি জোগায়। নিয়মিত পরিমিত পরিমাণে তিল খেলে ত্বক এবং চুলে আসে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা এবং বয়সের ছাপ পড়ে ধীরে। আয়ুর্বেদে এমনকি তিলের তেলকে মালিশ, এবং চিকিৎসায়ও বিশেষভাবে ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
