আজকাল ওয়েবডেস্ক: সাধারণ ঘামের কোনও গন্ধ হয় না। কিন্তু এই ঘামের সঙ্গে যখন ব্যাকটেরিয়া যুক্ত হয়, তখন দুর্গন্ধ তৈরি হয়। গায়ের দুর্গন্ধ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে ফেলে দেয়! যতই সাজ পোশাক ভাল করুন না কেন, গায়ের দুর্গন্ধ যে ব্যক্তিত্বের উপর প্রভাব ফেলে তা বলাই বাহুল্য! অনেকেই রোজকার জীবনে ঘামের দুর্গন্ধের সমস্যায় ভরসা রাখেন নামিদামি ব্র্যান্ডেড পারফিউমের উপর। কিন্ত তাতেও অনেক সময় সুরাহা মেলে না। যার জন্য কেন গায়ে দু্র্গন্ধ হচ্ছে তার কারণ জানা জরুরি।

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভিটামিন বি৬ বা ভিটামিন বি১২-এর ঘাটতি হলে শরীরে দুর্গন্ধ হয়। কারণ এই দুই ভিটামিন অ্যামিনো অ্যাসিড মেটাবলিজম ও ভাঙনে জড়িত। কাজেই এই দুই ভিটামিনের ঘাটতি হলে শরীর বেশি পরিমাণে দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী যৌগ তৈরি করে যা শরীরের প্রাকৃতিক গন্ধকে প্রভাবিত করে। কখনও কখনও ভিটামিন ডি-এর অভাব হলেও গায়ে বিকট গন্ধ তৈরি হতে পারে।

শুধুই ভিটামিন নয়, বিশেষজ্ঞদের কথায়, গায়ের দুর্গন্ধ আদতে কিছু সময় রোগের ইঙ্গিত হতে পারে। আসলে ঘামের সঙ্গে গায়ের দুর্গন্ধের কোনও সম্পর্ক নেই। অনেক সময় দেখা যায়, তেমন ঘাম না হলেও একজনের গায়ে বেশ দুর্গন্ধ হচ্ছে। এর পিছনেও ব্যাকটেরিয়া ও রোগের বড় ভূমিকা রয়েছে।

ডায়াবেটিসের কারণেও গায়ে দুর্গন্ধ হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের কথায়, ডায়াবেটিসের কারণে অনেকের কিটোঅ্যাসিডোসিস রোগটি হয়ে থাকে। এই রোগে রক্তে কিটোনের পরিমাণ বেড়ে যায়। কিটোন রক্তকে অ্যাসিডিক বা আম্লিক করে ফেলে। যার জেরে গায়ে দুর্গন্ধ হয়। 

মানব শরীরে উৎপন্ন যাবতীয় বর্জ‌্য পদার্থসমূহ শরীর থেকে বেরিয়ে যায় লিভার এবং কিডনির সাহায্যে। কোনওভাবে এইগুলি রোগগ্রস্ত হলে, সেই বর্জ‌্য সহজে বেরতে পারে না। তখন তা শরীরের ভিতরেই জমতে থাকে। ফলে দুর্গন্ধ হয়। তাই লিভার ও কিডনির সমস্যাতেও গায়ে দুর্গন্ধ হতে পারে।

অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায়ও অনেক সময় শরীরের গন্ধে পরিবর্তন আসতে পারে। এর অন্যতম কারণ হল, শরীরে হরমোনের পরিবর্তন। অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় রক্তপ্রবাহ বৃদ্ধি পায়। ফলে ঘাম বেশি হয়। এই সমস্যার মোকাবিলা করতে শরীর আর্দ্র রাখা প্রয়োজন।