স্বাভাবিকের তুলনায় ঘনঘন বাথরুম যান? এটা স্বাভাবিক নাকি আদতে আপনার শরীর কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছে? কী জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা? 

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু কিছু মানুষ দিনে একাধিকবার মল ত্যাগ করেন। ঘনঘন বাথরুমে যান, সেটা মোটেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। বরং স্বাভাবিক। 

কিন্তু কেন ঘনঘন বাথরুম পায়? চিকিৎসকের মতে অনেকের গ্যাস্ট্রোকলিক রিফ্লেক্স বেশি হয়। এটা শরীরের একটা সাধারণ প্রতিক্রিয়া। পেটে খাবার এলেই, সেটা মস্তিষ্কে সিগন্যাল পাঠায় সেটাকে বের করে দেওয়ার জন্য। এটা কিছু মানুষের মধ্যে অতিরিক্তভাবে সক্রিয়। সেই জন্যই অনেকেই ঘনঘন বাথরুমে যান। চিন্তার কিছুই নেই, যদি দিনে ২-৩ বার মলত্যাগ করার জন্য বাথরুমে গিয়ে থাকেন। তবে অন্যান্য লক্ষণ থাকলে অবশ্যই সচেতন হতে হবে। 

ঘনঘন মূত্রত্যাগের পাশাপাশি যদি পিঠে ব্যথা হয়, তাতে রক্ত আসে, প্রস্রাব করতে যদি বেগ পেতে হয় তবে সতর্ক হন। প্রস্রাবের রং ঘোলাটে হলেও সতর্ক হন। ইউটিআই, ওভারঅ্যাক্টিভ ব্ল্যাডার, সিকেল সেল অ্যানিমিয়া, প্রস্টেটের সমস্যা কারণ হতে পারে। তাই দেরি না করে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। 
তবে মনে রাখবেন, অন্যান্য উপসর্গ ছাড়া যদি ঘনঘন প্রস্রাব হয়, তাহলে সেটা কিন্তু বেশি জল খাওয়ার কারণে হতে পারে। আবার মদ্যপানের কারণেও হতে পারে। শরীর থেকে বর্জ্য বের করার জন্য কিডনি সারাক্ষণ প্রস্রাব তৈরি করে। কিন্তু কত ঘনঘন আপনি বাথরুমে যাবেন সেটা নির্ভর করে জল পানের পরিমাণ থেকে জীবনযাপনের ধরনের উপর।

একইভাবে দিনে একাধিকবার মলত্যাগ করা স্বাভাবিক হলেও, যদি তাতে পেট ব্যথা করে, যন্ত্রণা হয়, থেকে থেকে বমি পায় তাহলেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। পেট খারাপ করলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। 
দিনে কতবার প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিক? বিশেষজ্ঞদের মতে, দিনে ৫-৮ বার, বা কোনও কোনও ক্ষেত্রে ১০ প্রস্রাব হওয়া স্বাভাবিকের মধ্যেই ধরা হয়। কিন্তু তার বেশি হলে অবশ্যই চিন্তার কারণ আছে। অতএব আপনার শরীর আপনাকে কোন লক্ষণ বোঝাচ্ছে, কেন ঘনঘন বাথরুম যেতে হচ্ছে সেটা নিজেকে অনুধাবন করে সেই অনুযায়ী চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।