আজকাল ওয়েবডেস্ক: উত্তর কলকাতার বেলেঘাটা থানা এলাকায় এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা, অভিযোগ ছেলের হাতে মায়ের হত্যা! শনিবার দুপুরে ১টা ৫০ মিনিট নাগাদ বেলেঘাটা থানায় খবর আসে যে, কবি সুকান্ত সরণির একটি বাড়িতে এক বৃদ্ধা অচেতন অবস্থায় ঘরে পরে রয়েছেন। এমনটাই খবর আছে থানায় প্রতিবেশীদের মাধ্যমে।

পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে, আনুমানিক এক ৬৫ বছর বয়সী এক মহিলা অবচেতন অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পরে রয়েছেন এবং তাঁর মুখ থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে ওই বৃদ্ধাকে দ্রুত সরকারি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা তাঁকে পরীক্ষা করে দেখেন এবং বৃদ্ধাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। মৃতার নাম নন্দিতা বসু (৬৫), স্বামী প্রয়াত কমল বসু। তাঁর ঠিকানা—৫৭, কবি সুকান্ত সরণি, কলকাতা-৮৫।

আরও পড়ুন: দেশের ৩১ জন মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে মমতা এখনও গরিব, কত টাকা রয়েছে তাঁর কাছে, জানাল এডিআর

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নন্দিতা বসু তাঁর ছেলে মৈনাক বসুর (৩৫) সঙ্গে ওই ঠিকানাতেই একই সঙ্গে বাস করতেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ সূত্রে খবর, এ দিন সকালে মা ও ছেলের মধ্যে প্রবল বচসা হয় এবং সেই বচসা শারীরিক সংঘর্ষে রূপ নেয়। অভিযোগ, মৈনাক বসুর মারধরের ফলেই নন্দিতা বসুর মৃত্যু হয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রায়শই ছেলে মায়ের সঙ্গে রাগারাগি করে চরম অশান্তি ও মাকে মারধর করতেন। এরপর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে এনআরএস হাসপাতালে।

আরও পড়ুন: ভারতের সোনার রাজধানী হিসেবে কোন শহর পরিচিত? দেশের বৃহত্তম সোনার বাজার রয়েছে সেখানেই

এই ঘটনায় ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ (খুন) ধারায় কোনও মামলা এখনও রুজু হয়নি। প্রাথমিকভাবে ১০৫ ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। তবে তদন্তের অগ্রগতির উপর ভিত্তি করে ধারাবদল হতে পারে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।

ছেলেকে ইতিমধ্যেই পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে এবং জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার যাবতীয় তথ্য খতিয়ে দেখে আইনানুগ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন: বেসরকারিকরণই ভিলেন! গত ৫ বছরে বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থায় কাজ হারিয়েছেন লক্ষাধিক কর্মী, জানাল কেন্দ্র

ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রতিবেশীরা এই মর্মান্তিক ঘটনার জন্য গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

তবে পুলিশ সূত্রে খবর, ছেলেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এবং ময়নাতদন্তে রিপোর্ট এলে পুরো বিষয়টি পরিষ্কার হবে। তবে  বৃদ্ধার সঙ্গে তার ছেলের এ ধরনের আচরণের পিছনে কি কারণ রয়েছে সেটা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সম্পত্তিগত কারণ আছে কিনা বা এর সঙ্গে আরও কেউ যুক্ত আছে কি না সেটাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

আরও পড়ুন: এই একটি পদার্থের অভাব অচল করে দিতে পারে গোটা বিশ্বকে, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণও হতে পারে বস্তুটি