আজকাল ওয়েবডেস্ক :  সম্প্রতি স্কুল শিক্ষা দপ্তর রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষক পদোন্নতির ক্ষেত্রে ৬ সদস্যের কমিটি গঠন করে সুপারিশ পেশ করেছে। এই উদ্যোগকে স্বাগত জানাল মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতি। কমিটির কনভেনার প্রশাসনিক আধিকারিক সুকান্ত সাহা, কমিটির সদস্য তথা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। কমিটির অন্যতম সদস্য তথা শিক্ষা দপ্তরের আধিকারিক অনিরুদ্ধ গাঙ্গুলি, চিন্ময় সরকারের দপ্তরে সুপারিশপত্র জমা দেওয়া হয়। ডেপুটেশনের নেতৃত্বে ছিলেন সমিতির সহ-সভাপতি আনন্দ কুমার বসু, কোষাধ্যক্ষ অরুণ চ্যাটার্জী, পত্রিকা সম্পাদক শম্ভু মান্না, সংগঠনের উত্তর ২৪ পরগনা জেলা সম্পাদক শংকর কর্মকার, অরিন্দম মৈত্র, অমিতাভ রায় চৌধুরী প্রমূখ। ১২ টি বিষয় কমিটির বিবেচনার জন্য স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়। তাঁদের দাবি , পূর্বতন সরকারের আমলে ব্যয় নিয়ন্ত্রণ আইন ২০০৫ এর মাধ্যমে শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের পদোন্নতি আটকানোর ব্যবস্থা করা হয়। তাই তা বাতিল করে উপেক্ষিত সকল স্কুল প্রধান শিক্ষক, সহ শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী, গ্রন্থাগারিকদের অভিজ্ঞতাজনিত ইনক্রিমেন্টের তথা কেরিয়ার অ্যাডভান্সমেন্ট স্কিম কার্যকরী করার কথা বলা হয়েছে।‌ বকেয়া ডিএ প্রদান করা, শর্তহীনভাবে অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পদোন্নতি, সঙ্গে পদোন্নতির সঙ্গে চাকরিস্থল পরিবর্তন করা থেকে বিরত থাকার বিষয়টি সুপারিশে উল্লেখ করা হয়। মাধ্যমিক শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নীলকান্ত ঘোষ বলেন, পদোন্নতির ক্ষেত্রে কেবল পদ নয়, আর্থিক বঞ্চনার বিষয়টিই মূলগতভাবে বিচার্য বিষয় হওয়া উচিত। তাই এই সুপারিশপত্র কমিটির সকল সদস্যের কাছে দেওয়া হল।