আজকাল ওয়েবডেস্ক: ব্রাত্য নয়। ওঁরাও এই সমাজেরই অংশ। অভাবের সুযোগ নিয়ে বা কথায় ভুলে গিয়ে দুষ্কৃতীরা একসময় ওঁদেরকে ঠেলে দিয়েছিল যৌন পল্লিতে। সেখান থেকে উদ্ধার হওয়ার পর এই মুহূর্তে সকলেই আছেন কেন্দ্রীয় সরকারের পরিচালনাধীন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা আনন্দ কেন্দ্রে। পুজোয় এই উদ্ধার হওয়া মহিলারাই পরিবেশন করবেন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। রাজারহাটের ড্রিম অ্যাপার্টমেন্ট নামে একটি আবাসনে। আবাসনের দুই সচিব প্রবাল অভয়া এবং অরুন্ধতী ব্যানার্জি বলেন, 'আমরা অনেকদিন ধরেই ভাবছিলাম এঁদের সঙ্গে পুজোর আনন্দ ভাগ করে নিতে। যেটা এতদিন পর্যন্ত সম্ভব হয়নি। এবার হচ্ছে। তবে এঁদের নিরাপত্তার খাতিরে আমরা এঁদের পরিচয় প্রকাশ করব না।' 

 

জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া এই মহিলাদের বয়স ২০ থেকে ৩৫-এর মধ্যে। এঁদের মধ্যে যেমন এরাজ্যের বাসিন্দারা আছেন তেমনি বাংলাদেশেরও কয়েকজন মহিলা আছেন বলে জানা গিয়েছে। যাদেরকে চাকরি বা বিয়ের টোপ দিয়ে দুষ্কৃতীরা পাচার করে দিয়েছিল ভারতের বিভিন্ন যৌনপল্লিতে। কোথাও অভিযোগ পেয়ে আবার কোথাও সূত্র মারফত খবর পেয়ে পুলিশ উদ্ধার করেছে এই ৫৫ জন মহিলাকে।‌ আপাতত সকলেই আছেন ওই আনন্দ কেন্দ্রে। 

 

এখানে তাঁদের হাতে কলমে বিভিন্ন কাজ শিখিয়ে স্বাবলম্বী হিসেবে গড়ে তোলার কাজ চলছে। কেউ শিখছেন সেলাই আবার কেউ বা শিখছেন অন্য কিছু। সকলের চোখেই স্বপ্ন আগামীদিনে নিজের পায়ে দাঁড়ানোর। সপ্তমীর দিন দেবীর সামনে গান ও অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান প্রদর্শন করে নিজেদের ভবিষ্যৎ 'আনন্দ' ও 'সুখে' ভরে ওঠার বর চাইবেন ওঁরা।