আজকাল ওয়েবডেস্ক: কলকাতায় ফের নারীপাচার ও দেহব্যবসার অভিযোগ। ইতিমধ্যেই ছয় জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। জানা গেছে, গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বুধবার কলকাতার বড়তলা থানা এলাকার একটি বাড়িতে হানা দেয় পুলিশের মানবপাচার দমন শাখা। ওই অভিযানে ৯ নাবালিকা–সহ মোট ১১ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আলিপুরে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে দুই বাঘিনীর মৃত্যু, কী হয়েছিল?
পুলিশ সূত্রে খবর, বড়তলার ওই বাড়িটিতে নাবালিকা এবং তরুণীদের দিয়ে দেহব্যবসা চালাতেন মধ্যবয়স্ক এক দম্পতি। অভিযুক্ত দম্পতিকে ঘটনাস্থল থেকেই গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাঁরা বড়তলা থানা এলাকারই বাসিন্দা। এ ছাড়া পাচারকারী সন্দেহে আরও চার জনকে পাকড়াও করেছেন পুলিশকর্মীরা। সন্দেহভাজন ওই পাচারকারীদের মধ্যে এক তরুণীও রয়েছেন। ওই চার পাচারকারীর মধ্যে এক জনের বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনায়। বাকি তিন জনই উত্তর ২৪ পরগনার বাসিন্দা। তাঁদের বয়স ২২–৩৪ বছরের মধ্যে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা এবং সংলগ্ন এলাকায় মাঝে মধ্যেই বিভিন্ন স্পা এবং মেসেজ পার্লারে দেহব্যবসার অভিযোগ ওঠে। এই ধরনের ঘটনাগুলি বন্ধ করতে পুলিশের তরফে ধারাবাহিক অভিযানও চালানো হয়। বুধবারও গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর এসেছিল, বড়তলা থানা এলাকার একটি বাড়িতে দেহব্যবসা চলছে। সেই সূত্রের ভিত্তিতেই অভিযান চালিয়ে নাবালিকাদের উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেপ্তার করা হয়েছে অভিযুক্ত দম্পতি–সহ ছ’জনকে। ধৃতদের জেরা করে এই ঘটনার বিষয়ে আরও তথ্য সংগ্রহ করতে চাইছেন তদন্তকারীরা। এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত রয়েছেন কি না, সে বিষয়েও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। এই ঘটনায় এলাকা জুড়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: আরও চওড়া দরজা, আরও বেশি সুবিধা! যাত্রী সুবিধার্থে মেট্রোর নতুন রেক এল কলকাতায় ...
প্রসঙ্গত, এর আগে মেদিনীপুর ও ডায়মন্ড হারবারেও একই অভিযোগ উঠেছিল। ডায়মন্ড হারবারে একটি আবাসিক হোটেলে দেহব্যবসার অভিযোগ উঠেছিল মাস দুয়েক আগে। পুলিশি অভিযানে আটক করা হয়েছিল একাধিক যুবক–যুবতীকে। ওই আবাসিক হোটেলের ম্যানেজার ও কর্মচারীদেরও আটক করেছিল পুলিশ।
তারও আগে মেদিনীপুরে একটি আশ্রমের আড়ালে উঠেছিল দেহব্যবসার অবিযোগ। এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছিল।
