আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুক্রবার কলকাতায় ভয়াবহ দু্র্ঘটনা। কলকাতার দিকে যাওয়ার সময় দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর আচমকা আগুন লাগে এক প্রাইভেট গাড়িতে। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ১৫ নাগাদ ব্রিজের মাঝামাঝি অংশে হটাৎই চলন্ত ওই গাড়িতে আগুন লেগে যায়।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গাড়িটি হাওড়া থেকে কলকাতার দিকে যাচ্ছিল। চলন্ত মারুতি গাড়িতে আগুন দেখে আতঙ্কিত হয়ে পরে আশপাশের অন্যান্য গাড়ির চালক এবং যাত্রীরা। আগুন দেখে তাঁরা সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে। কিছুক্ষণের মধ্যেই গাড়িটি আগুনে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
খবর পেয়ে হাওড়া শিবপুর থেকে ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছয় দমকলের একটি ইঞ্জিন। পরে কলকাতা থেকেও একটি ইঞ্জিন এসে পৌঁছয়। প্রায় আধঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ঘটনার জেরে হুগলি সেতুতে কিছুক্ষণ যানজটের সৃষ্টি হয়েছিল। পরে পুলিশি হস্তক্ষেপে যানজট নিয়ন্ত্রণে আসে।

দমকলের অনুমান শর্ট সার্কিট এর কারণেই আগুন লেগেছে। দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে এদিন সন্ধ্যায় আগুন হুগলি সেতুর উপর গাড়িটিতে ভয়াবহ আগুন লাগে। ঘটনাস্থলে হাওড়া থেকে একটি ইঞ্জিন এসে পৌঁছয়। আধ ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুনঃ 'হিজড়ে' পরিচয়ে কুড়ি বছর ধরে ভারতে! চাঞ্চল্যকর তথ্য বাংলাদেশি যুবকের, জানুন ...
খবর অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৭ এপ্রিল রাতে পুরুলিয়াগামী যাত্রীভর্তি একটি বাস কলকাতার বাবুঘাট থেকে রওনা হয়েছিল। সাঁতরাগাছির দিকে যাওয়ার সময় দ্বিতীয় হুগলি সেতুর উপর চলন্ত বাসটিতে আচমকা আগুন ধরে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছিলেন , প্রথমে বাসের চাকায় আগুন জ্বলতে দেখা যায়। পরে এই আগুন ইঞ্জিনেও ছড়িয়ে পড়ে।
ওই অবস্থায় বাসটি টোলপ্লাজার দিকে কিছুটা এগিয়ে থেমে যায়। ঘটনার জেরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন বাসের যাত্রীরা। জানা গিয়েছে বাসে প্রায় ৪০ জনের মত যাত্রী ছিল। সকলেই প্রাণভয়ে বাস থেকে দ্রুত নামতে থাকেন। অনেক যাত্রী আবার জানলা দিয়েও লাফ দেন। এতে জখমও হন অনেকে।
চালক এবং কন্ডাক্টরও গাড়ি থেকে নেমে পড়েন। ক্রমে দাউদাউ করে জ্বলতে থাকে বাসটি। খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশ এবং হাওড়া সিটি পুলিশ পৌঁছোয় সেখানে। দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘণ্টাখানেকের চেষ্টায় অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে বাসটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়। খবর মারফত বাসে প্রচুর সামগ্রী ছিল। এমনকি বাসের ছাদেও প্রচুর মালপত্র ছিল। ইঞ্জিন থেকে ছড়িয়ে পড়া আগুনে সেইসব মালপত্র সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় কেউ আহত হননি। কী কারণে আগুন লেগেছে তা জানা যায়নি। ঘটনার তদন্ত চলেছে।
