আজকাল ওয়েবডেস্ক: এজরা স্ট্রিটে ভয়ঙ্কর অগ্নিকাণ্ড। দমকল সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোর পাঁচটা নাগাদ লালবাজারের কাছে এজরা স্ট্রিটের একটি ইলেকট্রিক দোকানে আগুন লাগে। ওই দোকানের দ্বিতীয় তলায় আগুন লাগার পরে তা ছড়িয়ে পড়ে। বৈদ্যুতিন সামগ্রী থাকায় ওই আগুন আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। আগুন নেভানোর চেষ্টা করছেন দমকল কর্মীরা।
ঘটনাস্থলে এসেছে দমকলের অন্তত ২০টি ইঞ্জিন। ল্যাডারের সাহায্য নিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ইঞ্জিনের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি করা হতে পারে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শনিবার ভোর ৫টা নাগাদ গুদামে আগুন লেগে যায়। বৈদ্যুতিন যন্ত্রপাতি এবং প্রচুর বৈদ্যুতিক তার ছিল গুদামে। মজুত করা ছিল অনেক দাহ্য পদার্থ। ফলে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। ভাল করে কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুনের লেলিহান শিখা গ্রাস করে আকাশ। চারদিক ঢেকে যায় কালো ধোঁয়ায়।
কীভাবে এই আগুল লাগল, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বৈদ্যুতিন সামগ্রী থেকেই আগুন লেগেছে বলে প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে। কেউ কেউ শর্ট সার্কিটের সম্ভাবনার কথা বলছেন। দমকল এখনও কিছু নিশ্চিত করতে পারেনি।
পুলিশ ও দমকল সূত্রে খবর, শনিবার ভোরে ওই গুদাম থেকে কালো ধোঁয়া বার হতে দেখে স্থানীয়রাই দমকলকে জানান। ঘনবসতি এলাকা হওয়ায় পরিস্থিতি হাতের বাইরে বেরিয়ে গিয়েছে। গুদাম থেকে পাশের আবাসনেও ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। একাধিক বাড়িতে আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে খবর। ভিতরে কেউ আটকে পড়েছেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।
এদিকে, দমকলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের অভিযোগ, দমকলে খবর দেওয়া হলেও তারা দেরিতে এসেছে। ফলে আগুন আরও ছড়িয়ে পড়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে রীতিমতো হিমশিম খাচ্ছেন দমকলকর্মীরা। মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের।
জানা গেছে, আপাতত দমকলের ২৩টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার কাজ করছে। ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ায় বিপুল ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। কয়েক মাস আগেও এজরা স্ট্রিটে এমন অগ্নিকাণ্ড ঘটেছিল, দাবি স্থানীয়দের। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনগুলি থেকে অনেককে সরানো হয়েছে।
