আজকাল ওয়েবডেস্ক: তিনবার চেষ্টা করলাম। পারলাম না। রাজ্যে ইতিমধ্যেই ২৭ জন মারা গিয়েছেন। ৭ লক্ষের বেশি মানুষ পরিষেবা পায়নি। আমি রাজ্যের মানুষের কাছে ক্ষমা চাইছি। আমি প্রথমদিন থেকেই চেষ্টা করছি। আশা করব জনগণ আমাদের ক্ষমা করবেন। বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্য আন্দোলনরত জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। 


এদিনের এই আলোচনার দিকে তাকিয়ে ছিলেন গোটা রাজ্যের মানুষ। নবান্নের সভাঘরে জুনিয়র ডাক্তারদের জন্য মুখ্যমন্ত্রী নিজে দু'ঘন্টার বেশি সময় অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের আগের শর্ত গোটা বৈঠকের 'লাইভ স্ট্রিমিং'-এর সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। কেন লাইভ স্ট্রিমিং সম্ভব নয় সেই ব্যাখ্যায় মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। সুপ্রিম কোর্ট যেটা করতে পারে সেটা আমরা করতে পারি না। কিন্তু স্বচ্ছতা বজায় রাখতে ভিতরে ভিডিও রেকর্ডিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। বিচারাধীন থাকলে কিছু নিয়ম মানতে হয়।'  বলেন, নিরাপত্তা এবং পরিকাঠামো উন্নয়ন, এই দুই বিষয়ই গুরুত্ব পেত আজকের বৈঠকে।


এ দিন নির্দিষ্ট সময়ের কিছু পরেই নবান্নে পৌঁছন জুনিয়র ডাক্তাররা।‌ এর পর দুই ঘণ্টা অপেক্ষা করেও তাঁরা আলোচনায় অংশগ্রহণ করেননি। সে বিষয়ে মমতা বলেন, 'দুই ঘন্টা দেরি করেও তাঁরা আসেননি। তাও আমরা কোনও পদক্ষেপ নেব না।' 


সরাসরি না বললেও মুখ্যমন্ত্রী বুঝিয়ে দেন এই মুহূর্তে তিনি আর জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বসতে রাজি নন। তিনি জানান, তিনি তাঁর সাধ্যমতো তিনবার চেষ্টা করলেন‌। তাঁরা আসলেন না। পরবর্তী সময়ে যদি বৈঠক হয় তবে সেই বৈঠকে রাজ্যের মুখ্যসচিব বা পুলিশের ডিজি বসতে পারেন বলে তিনি জানিয়ে দেন। 
এ দিন মমতা বলেন, জুনিয়র ডাক্তাররা অনেকেই আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন। কিন্তু বাইরে থেকে দু'তিনজন তাঁদের পরামর্শ দেয় না যেতে। তবে কোনও অবস্থাতেই তিনি এসেন্সিয়াল সার্ভিসেস মেইনটেনেন্স অ্যাক্ট বা এসমা জারি করবেন না বলে জানিয়েছেন মমতা। 
কেন এই পরিস্থিতি সে সম্পর্কে মমতা বলেন, 'ওরা বিচার চায় না। চেয়ার চায়।' মুখ্যমন্ত্রী বৃহস্পতিবারও জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে কাজে ফেরার আর্জি জানান।