আজকাল ওয়েবডেস্ক: লালবাজারের সামনের অবস্থানের সময়ও অতিক্রান্ত। ২৪ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরের সামনে অবস্থানরত জুনিয়র চিকিৎসকরা। আলোচনায় বসতে চেয়ে তাঁদের কাছে গেল সরকার পক্ষের দ্বিতীয় আহ্বান। মঙ্গলবারের ইমেলের পর ফের বুধবার চিঠি, সময় দেওয়া হল, নবান্নতে গিয়ে আলোচনার জন্য। এখন দেখার, রাজ্যের মুখ্যসচিবের পাঠানো চিঠির পর, নিজেদের মতামত হিসেবে কী জানান আন্দোলনরত চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার সন্ধেবেলা তাঁদের কাছে ইমেল আসে, একটি প্রতিনিধি দলের নবান্নতে গিয়ে বৈঠকের জন্য। সাড়ে সাতটার কিছু পরে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য জানান, সাড়ে সাতটা পর্যন্ত নবান্নতে আলোচনা, সেই প্রসঙ্গে আন্দোলনকারীদের বক্তব্যের অপেক্ষা করেছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। দীর্ঘসময় অপেক্ষার পর নবান্ন ছাড়েন তিনি। অন্যদিকে আন্দোলনরত চিকিৎসকরা জানান, চিঠি পাঠিয়েছেন স্বাস্থ্য সচিব, নবান্ন থেকে ইমেল আসেনি। অর্থাৎ দাবি যাঁর পদত্যাগের, আলোচনার জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন তিনিই। ইমেলের ভাষা অপমানজনক বলেও জানান চিকিৎসকরা। ফলত, বৈঠক এবং আলোচনায় কোনও সমাধানসূত্র উঠে আসেনি ।
বুধবার দুপুরে সাংবাদিক বৈঠক করে জুনিয়র চিকিৎসকরা জানান, তাঁদের কাছে যে ইমেল এসেছিল মঙ্গলবার, তাতে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতির কথা উল্লেখ ছিল না। বিভ্রান্ত দূর করতে বুধবার ভোর ৩টা ৫০ নাগাদ একটি ইমেল করেন তাঁরা।
রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের পাঠানো চিঠিতে লেখা হয়েছে, ১০ তারিখের ইমেল, তার পরিবর্তে ১১ তারিখ ভোরের ইমেল, সেসবের রেশ ধরেই পাঠানো হল পরবর্তী চিঠি। ১২-১৫ জনকে বুধবার সন্ধে ছয়টার সময় নবান্নতে গিয়ে আলোচনার কথা বলা হয়েছে চিঠিতে।
একই সঙ্গে মুখ্যসচিব চিঠিতে আন্দোলনরত চিকিৎসকদের সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের কথাও মনে করিয়েছেন। শীর্ষ আদালত যে মঙ্গলবার বিকেল ৫টার মধ্যে আন্দোলনরত জুনিয়র চিকিৎসকদের কাজে ফেরার নির্দেশ দিয়েছিল, সেকথা মনে করিয়ে তাঁদের কাজে ফেরার আর্জিও জানানো হয়েছে চিঠিতে। এখন অপেক্ষা, আন্দোলনরত চিকিৎসকদের পদক্ষেপের।
