তীর্থঙ্কর দাস: গড়িয়ার বাসিন্দা, হঠাৎই স্কুল থেকে ফেরার পথে একদিন অসুস্থ বোধ করে। বাড়ি ফিরতেই আচমকা জ্বর-সর্দি-কাশি। সেই ভুগতে শুরু করে একরত্তি। তিনদিনেও পরিস্থিতির  উন্নতি হয়নি। জ্বর-সর্দি, কাশিতে ভুগতে ভুগতে জ্ঞান হারায় বছর ৫-এর শিশুটি। তড়িঘড়ি তাকে নিয়ে যাওয়া হয় শহরের বেসরকারি হাসপাতালে। পিয়ারলেস হাসপাতালে শুরু হয় চিকিৎসা।

অন্যদিকে জ্বর-সর্দি থেকে কোমায় চলে যায় শিশুটি। শারীরিক পরীক্ষার পর জানা যায়, শিশুটি ‘অ্যাকিউট নেক্রোটাইজিং এনসেফালাইটিসে’ আক্রান্ত। তৎক্ষণাৎ শুরু হয় চিকিৎসা। এক মাস ভেন্টিলেশনে থাকার পর এখন অনেকটাই সুস্থ সে। 

হাত-পা অবশ থাকলেও ক্রমশ সুস্থতার দিকে এগিয়ে চলেছে ওই শিশু। শিশুটির চিকিৎসক সহেলি দাশগুপ্ত জানিয়েছেন, 'অ্যাকিউট নেক্রোটাইজিং এনসেফালাইটিস ভাইরাল ইনফেকশন হলেও বেশ ক্ষতিকারক। ইনফেকশন ফুসফুস তো বটেই মস্তিষ্ককেও আঘাত করে। বহু ক্ষেত্রে একাধিক ক্ষতি হয় দেহের অঙ্গপ্রত্যঙ্গে। এখন চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছে শিশুটি, এবং সুস্থতার দিকে ক্রমশ এগিয়ে চলেছে।'

প্রসঙ্গত ৫, নভেম্বর একই হাসপাতাল ১৬ মাসের শিশুকে ১৬ কোটি মূল্যের জিন থেরাপি বিনামূল্যে করিয়ে প্রাণ ফিরিয়ে দিয়েছিল। ১৭.৫ কোটি টাকার জিন থেরাপি সম্পূর্ণ বিনামূল্যে পেয়েছিল পূর্ব মেদিনীপুরের ১৬ মাসের শিশু দীন মহম্মদ। এসএমএ টাইপ ১ রোগে আক্রান্ত ছিল শিশুটি।