আজকাল ওয়েবডেস্ক: বিশ্ব ব্যাঙ্কের তথ্য, ভারতের দারিদ্রের পরিসংখ্যান আগের থেকে কমেছে অনেকটাই। একই সঙ্গে তথ্য, পড়শি দেশের প্রায় অর্ধেক মানুষ দারিদ্রসীমায় অবস্থান করেন। 

সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এপ্রিলের শুরুতে এক মূল্যায়নে, বিশ্বব্যাঙ্কের তথ্য, ২০২৪-২৫ সালে পাকিস্তানে আরও ১.৯ মিলিয়ন মানুষ দারিদ্র্যের মধ্যে পড়েছেন। ৪৫ শতাংশ দারিদ্র্যের মধ্যে বাস করে, যেখানে ১৬.৫ শতাংশ মানুষের পরিস্থিতি চরম দারিদ্র সীমার নিচে। 

এর আগে ভারত আইএমএফ এবং বিশ্বব্যাঙ্কের কাছে বারবার পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার বিরোধিতা করেছিল। ভারত দীর্ঘদিন ধরে যুক্তি দিয়ে আসছে যে পাকিস্তান আইএমএফের সহায়তা নিয়মিতভাবে অপব্যবহার করছে। গত ৩৫ বছরে পাকিস্তান ২৮টি আইএমএফ প্রোগ্রামে অংশ নিয়েছে। তবে স্থিতিশীলতে তারা দেখাতে পারেনি।  


ভারতের তীব্র আপত্তি সত্ত্বেও পাকিস্তানকে ৮৫০০ কোটির ঋণ দেয় আন্তর্জাতিক আর্থিক তহবিল আইএমএফ। ভারতের তরফে এই ঋণের তীব্র বিরোধিতা করে যুক্তি দেওয়া হয়, পাকিস্তান এর আগেও বারবার আইএমএফের থেকে ঋণ নিয়েছে। কিন্তু সেই অর্থে সংস্কারের তেমন কিছুই করা হয়নি। দ্বিতীয়ত, ওই বিপুল অর্থ সন্ত্রাসে মদত দিতে ব্যবহৃত হবে। সুতরাং ঋণ না পেলে সেটা ব্যাহত হবে। তবে আমেরিকা-সহ বেশকিছু দেশের সমর্থনে এই ঋণ পেয়ে যায় পাকিস্তান। 


কিন্তু কার্যত দেউলিয়া পাকিস্তান যে সুবিধাজনক নয় তা বুঝতে পেরেই ১১ দফা শর্ত চাপানো হয়েছে আইএমএফের তরফে। তার মাঝেই সামনে এল সে দেশের এই আর্থিক পরিস্থিতির তথ্য।  একই সঙ্গে বিশ্বব্যাঙ্ক জানিয়েছে, ২০১১-১২ থেকে ২০২২-২৩ সালের মধ্যে ভারত ১৭ কোটি ১০ লক্ষ মানুষকে চরম দারিদ্র্য থেকে তুলে এনেছে।