আজকাল ওয়েবডেস্ক: নাতনির সঙ্গে ছেলের চেহারার কোনও মিল নেই। নাতনির জন্মের পর থেকেই সন্দেহ হয় তাঁর। পরিবারের কাউকে না জানিয়ে ঠাকুমা যা করলেন, তা জেনেই ভেঙে পড়লেন সকলে। শেষমেশ ঠাকুমার সঙ্গেই সম্পর্ক ভাঙলেন তাঁরা। আসলে কী ঘটেছে? 

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ছেলে, বৌমা, তাঁদের তিন সন্তানকে ডিনারের জন্য ডেকেছিলেন মহিলা। ডিনার টেবিলে খাবার পরিবেশন করার পরিবর্তে তাঁদের সামনে একটি খাম রাখেন। সেই খামে ছিল ডিএনএ পরীক্ষার রিপোর্ট। সকলের সামনে তিনি বলেন, নাতনি আসলে তাঁর ছেলের সন্তান নয়। অন্য কারও সন্তান সে। রিপোর্ট দেখে সকলেই মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। 

আসল সত্যিটা তারপরেই সকলকে জানান ওই কিশোরীর মা। তিনি জানান, বিয়ের পর থেকেই সন্তান ধারণের চেষ্টা করছিলেন তাঁরা। কিন্তু কোনও ভাবেই সন্তান হচ্ছিল না। পরিবারের এক সদস্য একদিন তাঁকে ধর্ষণ করেন। সেই ঘটনাটি স্বামীকেও বলেছিলেন তিনি। এরপরই অন্তঃসত্ত্বা হন যুবতী। কিন্তু বুঝতে পারছিলেন না, সন্তানটি আসলে কার। সন্তানের আসল বাবা কে, স্বামীকে পরীক্ষা করে জানার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। কিন্তু স্বামী সে সময় আপত্তি জানান। 

যুবতী জানিয়েছেন, কন্যাসন্তানের জন্মের পর তাকে নিজের মেয়ের মতোই যত্ন করেন স্বামী। ১৭ বছর পর ডিএনএ পরীক্ষা করে দেখা গেল, মেয়ের আসল বাবা তিনি নন। মানসিকভাবে ভেঙে পড়লেও, তিনি জানিয়েছেন, মেয়েকে নিজের সন্তানের মতোই খেয়াল রাখবেন। এর পাশাপাশি দু'জনেই জানিয়েছেন, বৃদ্ধার সঙ্গে আর কেউ কোনও যোগাযোগ রাখবেন না। অন্যত্র থাকবেন একসঙ্গে।