আজকাল ওয়েবডেস্ক: মায়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হঠাৎই হুলুস্থুল কাণ্ড। জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরে এক মহিলা যাত্রী তাঁর অন্তর্বাসের মধ্যে কচ্ছপ লুকিয়ে পাচারের চেষ্টা করছিলেন। ওই মহিলাকে তো আটক করা হয়েছেই, কিন্তু গোটা ঘটনায় কার্যত হতবাক হয়ে গিয়েছে কর্তৃপক্ষ। বিমানবন্দর সূত্রে খবর, ওই মহিলার অন্তর্বাসের ভিতর থেকে দুটি কচ্ছপ উদ্ধার করা হয়েছে। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, বিমানবন্দরের ভিতর নিয়মিত স্ক্রিনিং চলাকালীন ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন প্রথম বিষয়টি নজরে আনে। গোটা ঘটনা মিটে যাওয়ার পরে তারা  সোশ্যাল মিডিয়ায় বিস্তারিত বিবরণ ও ছবি শেয়ার করে।

ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন তাদের পোস্টে লেখে, ‘দয়া করে শরীরের অদ্ভুত স্থানে প্রাণী লুকিয়ে বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করবেন না। সম্প্রতি এক ফ্লোরিডাবাসী মহিলা মায়ামি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ভ্রমণের সময় দুটি কচ্ছপ নিয়ে আমাদের চেকপয়েন্ট পার করার চেষ্টা করেন। সেগুলি তিনি লুকিয়ে রেখেছিলেন, হ্যাঁ ঠিক ধরেছেন - তাঁর অন্তর্বাসের ভিতর’। জানা গিয়েছে, মহিলা কচ্ছপ দুটিকে গজ কাপড় ও প্লাস্টিকে জড়িয়ে নিজের অন্তর্বাসের মধ্যে লুকিয়ে রেখেছিলেন। দুঃখজনকভাবে, কচ্ছপগুলির মধ্যে একটি বেঁচে থাকতে পারেনি। অপরটি ফ্লোরিডা ফিশ অ্যান্ড ওয়াইল্ডলাইফ বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে, তারা এখন সেটির দেখভাল করছে। ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, যাত্রীরা ছোট প্রাণী নিয়ে ভ্রমণ করতে পারেন, তবে নির্দিষ্ট নিয়ম ও পদ্ধতি অনুসরণ করেই তা করতে হবে। পশুদের অনুমোদিত কেরিয়ারে করে নিয়ে যেতে হবে এবং নিরাপত্তা স্ক্রিনিংয়ের সময় তাদের বের করে আনতে হবে, জামাকাপড়ের নিচে লুকিয়ে নয়।

আরও পড়ুন: ওভালে না থেকেও থাকবেন পন্থ, তাঁর বার্তায় উজ্জ্বীবিত সাজঘর, কী বললেন ভারতের তারকা কিপার?

ট্রান্সপোর্টেশন সিকিউরিটি অ্যাডমিনিস্ট্রেশন আরও জানিয়েছে, যাত্রীদের আগে থেকে তাদের এয়ারলাইনের সঙ্গে যোগাযোগ করে কেবিনে প্রাণী নিয়ে যাওয়ার নিয়ম জেনে নেওয়া উচিত। তবে শুধু প্রাণী নয়, মাঝেমধ্যেই নিষিদ্ধ মাদক বা সোনাদানা পাচার করার খবর মেলে বিমানবন্দর থেকে। সম্প্রতি, এক যুবতীকে কয়েক কোটি টাকার কোকেন পাচারে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। খবর অনুযায়ী, দোহা থেকে আসছিলেন ওই যুবতী৷ মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে প্রায় ৬২.৬ কোটি টাকার কোকেন পাচার করছিলেন। সন্দেহ করে গ্রেপ্তার করা হয়েছে যুবতীকে। মঙ্গলবার মুম্বাই বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় রাজস্ব গোয়েন্দা অধিদপ্তর (ডিআরআই) তাকে আটক করে।

সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, গোপন সূত্রে পুলিশের কাছে খবর ছিল৷ তারা একটি গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিলেন। ১৪ জুলাই দোহা থেকে মুম্বাই আসা এক যুবতী দেশে মাদক পাচার করবেন। এরপর ডিআরআই মুম্বাইয়ের কর্মকর্তারা তথ্যের ভিত্তিতে ১৪ জুলাই মুম্বাই বিমানবন্দরে যাত্রীটিকে আটক করেন। যুবতী ওরিও বিস্কুটের ছয়টি বড় বাক্স এবং তিনটি চকলেটে মাদক পাচার করছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে, তারা যুবতীর থেকে একাধিক ওরিও বিস্কুটের বড় বাক্স এবং প্রায় তিন চারটে চকলেট খুঁজে পান। এগুলি খোলার পর, নয়টি বাক্সেই সাদা পাউডার জাতীয় পদার্থ ভর্তি ক্যাপসুল পায় তারা। প্রাথমিকভাবে কর্মকর্তারা কোকেন বলে মনে করেন এটিকে। ডিআরআই তাদের বিবৃতিতে জানায়, মোট ৩০০টি ক্যাপসুল উদ্ধার করা হয়েছে।