আজকাল ওয়েবডেস্ক: পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হানার পর থেকেই ভারত এবং পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে। জঙ্গি হানার প্রত্যাঘাতে ৭ মে পাল্টা হানা চালিয়েছে ভারত। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরের নয়টি জঙ্গি ঘাঁটি ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। এত কিছুর মাঝেও দেশ চালাতে টাকার তো দরকার।
বেহাল অর্থনীতির কারণে দেউলিয়া হতে বসা পাকিস্তানের দরকার টাকা। সেই টাকার জন্য শেহবাজ শরিফের দেশ চেয়ে রয়েছে আন্তর্জাতিক অর্থভাণ্ডার (আইএমএফ)-এর দিকে। ১.৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ চায় পাকিস্তান। কিন্তু এ বার সতর্ক করে দিয়েছে ভারত। আইএমএফ-কে দিল্লি জানিয়েছে, অর্থনীতির কাজে নয় জঙ্গিদের মদত দিতে ব্যবহার করা হবে ওই টাকা।
আইএমএফ এক্সিকিউটিভ বোর্ড ৯ মে পাকিস্তানের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বর্ধিত তহবিলের সুবিধা (ইএফএফ) নিয়ে পর্যালোচনার জন্য সাক্ষাৎ করবে। আর্থিক ভাবে সাহায্য প্রদানকারি সংস্থাগুলিকে (যার মধ্যে আইএমএফও রয়েছে) পাকিস্তানকে আর্থিক সাহায্য করা কথা পুনর্বিবেচনা করা অনুরোধ করেছে ভারত। ২২ এপ্রিলের হানার পর পাকিস্তানকে কূটনৈতিকভাবেও কোনঠাসা করতে চাইছে দিল্লি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভারত পাকিস্তানকে দেওয়া ঋণের বিষয়ে আইএমএফ-এর কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা বলেছে, এই তহবিল অর্থনীতির উন্নতির বদলে সামরিক ও গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের উন্নতিতে ব্যবহার করা হচ্ছে। যার মধ্যে আইএসআই এবং লস্কর-ই-তইবা (এলইটি) এবং জইশ-ই-মহম্মদ (জেইএম) এর মতো জঙ্গি গোষ্ঠীও রয়েছে।
আর্থিক সঙ্কটের থাকা পাকিস্তান আইএমএফ-এর বিশের প্রকল্পের আওতায় প্রদত্ত উপর নির্ভরশীল। ৯ মে আইএমএফের আসন্ন বৈঠকে মূল্যায়ন করা হবে যে পাকিস্তান পরবর্তী কিস্তির টাকা পেতে প্রয়োজনীয় সংস্কারে মানদণ্ড পূরণ করেছে কি না।
গত বছর, পাকিস্তান আইএমএফ থেকে ৭ বিলিয়ন ডলার সাহায্য পেয়েছিল। এরপর মার্চ মাসে জলবায়ু মোকাবিলায় আরও ১.৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ পেয়েছিল। অতিমারির পরে পাকিস্তানের অর্থনীতিতে ধস নেমেছিল। মুডি’স রিপোর্ট বলছে, আইএমএফ প্রকল্পের আওতায় আসার পরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক অবস্থার ধীরে ধীরে ‘উন্নতি’ হচ্ছে। মূল্যবৃদ্ধি কমছে। ভান্ডারে বৈদেশিক মুদ্রাও ধীরে ধীরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সে কথা বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছিল খোদ আইএমএফ। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে কী পদক্ষেপ করবে আইএমএফ সেটাই দেখার।
