আজকাল ওয়েবডেস্ক: গোটা বিশ্বে ৮ থেকে আশি এক নামে চেনে সান্তা ক্লজকে। সকলের বিশ্বাস, প্রতি বছর বড়দিনের সময় উপহারের ডালি নিয়ে, স্লেজ গাড়ি চড়ে উপস্থিত হন সাদা চুল-দাড়ির সান্তা। ছোটদের মধ্যে সান্তাকে নিয়ে কৌতূহলের শেষ নেই। শিশুমনের সরল বিশ্বাস, সান্তা বড়দিনের আগের রাতে চুপিচুপি এসে তাদের জন্য উপহার রেখে যায়। কিন্তু কে এই সান্তা ক্লজ? সান্তা কি শুধুই শিশুমনের কল্পনা, না কি অন্য কারণ আছে এর নেপথ্যে।

 

রূপকথা অনুযায়ী সান্তা ক্লজের উৎপত্তি প্রাচীন শহর মায়রা (বর্তমানে তুরষ্কের অন্তর্গত)-র খ্রিস্টান বিশপ সেন্ট নিকোলাসের আদলে। খ্রিস্টীয় চতুর্থ শতকের বিশপ নিকোলাস ছিলেন সেন্ট নিকোলাস খুব উদার মনের ছিলেন। শিশুদের জন্য তাঁর অপত্য স্নেহ আর ভালবাসা ছিল। তিনি নাকি গোপনে উপহার রেখে আসতেন সকলের বাড়িতে। যাঁর উপহার দেওয়ার রীতিই সান্তা ক্লজের কাহিনির জন্ম দেয়।  তাঁর প্রয়াণের দিন অর্থাৎ ৬ ডিসেম্বরকে অনুগামীরা সেন্ট নিকোলাস ডে হিসাবে পালন করতেন।

 

ডাচরা সেন্ট নিকোলাসের অনুকরণে আমেরিকায় নিয়ে আসেন সিন্টেরক্লাসকে। সপ্তদশ শতকে ডাচরা যখন নিউ আমস্টারডাম (বর্তমানে নিউ ইয়র্ক)-এ পৌঁছলেন সঙ্গে নিয়ে এলেন সিন্টেরক্লাসকে। এই চরিত্রও সেন্ট নিকোলাস ডে-তে শিশুদের সঙ্গে দেখা করতেন। তাদের হাতে মিষ্টি এবং উপহার তুলে দিতেন। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, এই ঐতিহ্য আরও ছড়িয়ে পড়ে এবং অন্যান্য সংস্কৃতির প্রভাবের তৈরি হয় আধুনিক সান্তা ক্লজের আধুনিক রূপ।

 

সান্তা ক্লজকে যে রূপে আমরা আজ চিনি তা উনিশ এবং বিশ শতকের গোড়ার দিকে বিভিন্ন শিল্পী এবং লেখকদের দ্বারা তৈরি। ১৮২৩ সালে রচিত এক কবিতায় সান্তার রূপের বর্ণনা দেওয়া ছিল কবিতাটিতে সান্তাকে লাল স্যুট পরিহিত হাসিখুশি, স্থূলাকার মানুষ হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছিল।এই ধারণা থেকেই বর্তমানের সান্তা ক্লজের রূপ আবর্তিত হয়েছে। ১৮৬০ সালে কার্টুনিস্ট থমাস নাস্ট একটি ম্যাগাজিনের সান্তার ছবি এঁকেছিলেন। সেই রূপই ক্রমে বিবর্তিত হয়ে আজকের সান্তা।