আজকাল ওয়েবডেস্ক: গীর্জা খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উপাসনস্থল। যীশুখ্রিস্টের সামনে প্রার্থনা করতে দিনের একটি বিশেষ সময়ে ওখানে গিয়ে প্রার্থনা করেন খ্রিস্টানরা। সব উপসনাস্থলের মতো এখানেও নীরবতা বজায় রাখতে হয়। কিন্তু ইংল্যান্ডের একটি গীর্জায় হচ্ছে ঠিক তার উল্টোটা। গীর্জার ভিতরেই বসেছে জনপ্রিয় ডব্লিউডব্লিউই-র মতো কুস্তির আসর। ইংল্যান্ডের একটি স্থানীয় গির্জা নতুন অনুসারীদের আকৃষ্ট করতে এবং যীশুখ্রিস্টের প্রতি বিশ্বাসে ফিরিয়ে আনতে একটি অভিনব কিন্তু অপ্রচলিত পদ্ধতি ব্যবহার করে ভাইরাল হয়েছে সম্প্রতি।
উত্তর ইংল্যান্ডের শিপলি শহরে সেন্ট পিটার্স অ্যাংলিকান গির্জাটি জনপ্রিয়ভাবে 'রেসলিং চার্চ' নামে পরিচিত। যেখানে অংশগ্রহণকারীরা ডব্লিউডব্লিউই-স্টাইলের বিনোদন এবং ধর্মীয় উপদেশ উভয়ই পেয়ে থাকেন। ৩৭ বছর বয়সী গ্যারেথ থম্পসন গীর্জাটির প্রতিষ্ঠা করেন।
নিউ ইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদন অনুসারে, থম্পসন ২০২২ সালে গির্জাটি চালু করেন। তিনি জানিয়েছেন, একজন পেশাদার কুস্তিগির ছিলেন এবং যীশুর দ্বারা রক্ষা পেয়েছিলেন। অন্যদেরও একই অভিজ্ঞতা দিতে চেয়েছিলেন। সেই কারণেই এই অভিনব পন্থা। বর্তমানে তিনি একজন ধর্মপ্রচারক এবং রিংমাস্টারও। তাঁর টি-শার্ট লেখা থাকে, 'প্রে, ইট, রেসল, রিপিট'।
????????#Great_Britain
— Military Conflicts (@Alex_RobertsJ)
In Britain, wrestling is held right in the church - to bring people back to faith????
In Britain, wrestling fights have begun to be held right in the church to attract new parishioners. The idea belongs to 37-year-old wrestler Gareth Thompson, who claims that… pic.twitter.com/nAe6rE75tYTweet by @Alex_RobertsJ
সাম্প্রতিক সময়ে ইংল্যান্ডের গির্জাগুলিতে ভক্তদের উপস্থিতি হ্রাস পাচ্ছে। ২০২১ সালের সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, ইংল্যান্ড এবং ওয়েলসের অর্ধেকেরও কম মানুষ এখন নিজেদের খ্রিস্টান বলে মনে করেন। সেন্ট পিটার্সের দায়িত্বে থাকা পুরোহিত রেভারেন্ড নাতাশা থমাস বলেছেন যে এই পরিস্থিতি গির্জাগুলিকে সৃজনশীল হতে উৎসাহিত করেছে।
একটি সাধারণ দিনে নাতাশা একটি সংক্ষিপ্ত প্রার্থনা করেন। তারপর দুই ঘণ্টা ধরে চলে রেসলিং। তা দেখতে ভিড় জমান স্থানীয়রা। সেই ভিড়ে জওয়ান থেকে বুড়ো সকলেই থাকেন।
যদিও এই পদক্ষেপে গীর্জাটির সাফল্য নিয়ে বিতর্ক রয়েছে অনেক। থম্পসন জানিয়েছেন, এই ব্যবস্থা চালু হওয়ার পর গত এক বছরে ৩০ জনকে দীক্ষা দেওয়া হয়েছে।
