আজকাল ওয়েবডেস্ক: ইলন মাস্ক ঘটা করে দায়িত্ব নিয়েছিলেন এক্স-এর। এক্স-এর দায়িত্বভার গ্রহণ করার ওর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেছিলেন। তবে তথ্য, হড়বড়িয়ে বহু ব্যবহারকারী একযোগে ছাড়ছেন মাস্কের এক্স। শুধু তাই নয়, যোগ দিচ্ছেন রাইভাল গোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত ‘ব্লুস্কাই’-এ। কিন্তু কারণ কী?
সম্প্রতি মার্কিন নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। ভোট জিতে ফের ক্ষমতায় ফিরেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্প-মাস্ক ঘনিষ্ঠতা এই মুহূর্তে সর্বজনবিদিত। দু’ জনেই দু’ জনের হয়ে প্রশস্তি করেছেন সর্বসমক্ষে। তবে এই ভোট পর্বেই লক্ষণীয়, বহু ব্যবহারকারী ইলন মাস্কের এক্স ছেড়েছেন, অর্থাৎ তাঁরা আর ব্যবহার করছেন না এই সোশ্যাল মিডিয়া সাইট। শুধু তাই নয়, তথ্য, একদিকে যেমন বহু মানুষ এক্স ছাড়ছেন, তেমন মার্কিন মুলুকের ভোট পর্বে একযোগে বহু মানুষ যোগ দিয়েছেন ব্লুস্কাই নামক সোশ্যালমিডিয়া প্লাটফর্মে।
এর কারণ কী? এই খোঁজে এক নয়, একগুচ্ছ কারণ জানা গিয়েছে। যেমন, কেউ কেউ ক্রমাগত এক্স হ্যান্ডেলে ‘হেট স্পিচ’ ছড়িয়ে পড়ায় ক্ষুব্ধ হয়ে নিজেদের সরিয়ে নিয়েছেন সেখান থেকে। পূর্বতন টুইটার, বর্তমান এক্স হ্যান্ডেলে মার্কিন ভোট পর্বে ট্রাম্পের হয়ে প্রচার চলার কারণেও অনেকেই বিরক্ত। মাস্ক ট্রাম্পের সরকারের অংশ হওয়ার পর, এই সংস্থার নিরপেক্ষতা কতটা থাকবে, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন অনেকে। এই সময়ে অনেকেই মাস্কের ২০২২ সালের একটি বক্তব্য তুলে আনছেন, যেখানে তিনি বলেছিলেন, মানুষের বিশ্বাসযোগ্যতা জয় করার জন্য প্রথম শর্ত রাজনীতির বাইরে গিয়ে,নিরপেক্ষ থাকা। মাস্কের ট্রাম্প আনুগত্য যত বেড়েছে, ততই তাঁদের মনে হয়েছে, দিনে দিনে এক্স-এ স্বাধীন কথা বলার জায়গা কমে যাবে।
এখানেই, একনজরে দেখা যাক, ব্লুস্কাই-কে। প্রাক্তন টুইটারের প্রধান নির্বাহী জ্যাক ডরসির একটি ইনসাইডার প্রজেক্ট হিসেবে এটি তৈরি করেন। আচমকা হুড়মুড় করে বাড়ছে তার ব্যবহারকারীর সংখ্যা। গত কয়েকদিনে কয়েক মিলিয়ন ব্যবহারকারী এখানে যোগ দিয়েছেন।
