আজকাল ওয়েবডেস্ক: বার্মিংহাম (যুক্তরাজ্য) থেকে এক চাঞ্চল্যকর ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, এক ভারতীয় ছাত্রী গাড়ির মালিকের কাঁচ মুছে দেওয়ার পর তাঁর কাছে ২০ পাউন্ড (প্রায় ২,৩০০ টাকা) দাবি করছেন। এই অস্বাভাবিক ঘটনার জেরে নেটিজেনদের মধ্যে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওটি শুরু হয় এক ছাত্রীর গাড়ির জানালায় নক করার মাধ্যমে। গাড়ির মালিক কাঁচ নামাতেই ছাত্রী বলেন, “স্যার, ২০ পাউন্ড প্লিজ।” গাড়ির ভেতরের ব্যক্তি বিস্মিত হয়ে জিজ্ঞেস করেন, “কিসের জন্য?” তখন ছাত্রী উত্তর দেন, “আমি আপনার কাঁচ পরিষ্কার করেছি।”
আরও পড়ুন: পোষা কুকুরকে নিজের 'স্ত্রী' ভেবে যা করলেন ব্যক্তি! হইচই নেট পাড়ায়
কিন্তু মালিকের দাবি, ওই পরিষ্কার করার কাজ বলতে গেলে “একটা হালকা করে মুছে দেওয়া মাত্র।” তিনি অবাক হয়ে প্রশ্ন করেন, “২০ পাউন্ড?” এর উত্তরে ছাত্রী বলেন, “এটাই তো কস্ট অব লিভিং।” মালিক আরও ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, তিনি কখনোই কাউকে কাঁচ পরিষ্কার করতে বলেননি।তবুও ছাত্রী বারবার ২০ পাউন্ড দাবি করতে থাকেন। এমনকি তিনি গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে বলেন, “আপনি যদি না দেন, তবে যেতে পারবেন না। যেতে চাইলে আমাকে ধাক্কা দিতে হবে।” তখন গাড়ির মালিক তাঁকে ''ডাকাত'' বলে সম্বোধন করেন।
নেটিজেনদের প্রতিক্রিয়া
ভিডিওটি ভাইরাল হতেই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছেন ওই ছাত্রী। এক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “ভিক্ষেও করছে, আবার এমন অভদ্র ভঙ্গিতে—কে দেবে ওকে টাকা!” অন্যজন মন্তব্য করেছেন, “ইন্টারন্যাশনাল ভিখারি।” কেউ প্রশ্ন তুলেছেন, “এ কেমন পরিষ্কার? একটুখানি মুছেই ২০ পাউন্ড চাইছে!” আরেকজন লিখেছেন, “ও মনে করছে এখনও ভারতে আছে।”
তবে নেটদুনিয়ার একাংশ মনে করছে ঘটনাটি আসল নয়, বরং একেবারে সাজানো। তাঁদের দাবি, একই ছাত্রী ও ওই গাড়ির মালিককে একাধিক রিলে দেখা গিয়েছে। এক ব্যক্তি লিখেছেন, “সব বাজে কথা। ওরা একসঙ্গে অনেক ভিডিও করেছে। এটা ওকে বদনাম করার চেষ্টা।” অন্য এক ব্যবহারকারী মন্তব্য করেছেন, “এটা পুরো এজেন্ডা। আরেকটি রিলে দেখা যায় একই ছাত্রী সাইকেল থেকে পড়ে গাড়ির গায়ে লাগে। তখনও গাড়ির মালিক ভিডিও করছে। সবই স্ক্রিপ্টেড।”
ইনস্টাগ্রামের The Last Hour News পেজের দাবি, এই ঘটনাটি স্থানীয় কর্তৃপক্ষ নজরে নিয়েছে। আসলেই কি ঘটনাটি সত্যি, নাকি কৃত্রিমভাবে বানানো ভিডিও—তা যাচাই করে দেখা হচ্ছে। এই ঘটনায় একদিকে যেমন ভারতীয় ছাত্রীর আচরণ নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে, অন্যদিকে সোশ্যাল মিডিয়ার ‘সাজানো কনটেন্ট’ নিয়ে নতুন করে প্রশ্ন উঠেছে।
