আজকাল ওয়েবডেস্ক: আর আড়ালে আবডালে নয়, এবার সরাসরি নোবেল শান্তি পুরস্কার চেয়ে বসলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট! নরওয়ের এক মন্ত্রীর কাছে সেই পুরস্কারের আর্জি জানালেন তিনি।
ট্রাম্প এর আগে নোবেল শান্তি পুরস্কার পাওয়ার যোগ্যতা নিয়ে বহুবার প্রকাশ্যে দাবি করেছেন। তবে, এই প্রথমবার নিজেকে নোবেল দেওয়ার প্রস্তাবই দিয়ে দিলেন তিনি।
সংবাদ সংস্থা রয়টার্স-এর প্রতিবেদন অনুসারে নরওয়ের বাণিজ্য সংক্রান্ত দৈনিক 'ডাগেনস নায়েরিংসলিভ'-এ লেখা হয়েছে যে, গত জুলাই মাসে নরওয়ের বাণিজ্যমন্ত্রী জেন্স স্টলটেনবার্গের সঙ্গে ফোনালাপে শুল্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা চলাকালীন ট্রাম্প নিজেই বলেছেন - এ বার আমার নোবেল শান্তি পুরস্কার চাই।
The White House is trying to pressure Norway to give Trump the Nobel peace Prize???????? no the pedo president that builds concentration camps and dreams of ethnic cleansing Gaza so he can build his shitty resort and wants to become a dictator will not receive the Nobel peace Prize???? pic.twitter.com/LUM2N2xEjy
— Glenn Tunes (@glenn_tunes)Tweet by @glenn_tunes
ইতিমধ্যে ইজরায়েল, পাকিস্তান ও কম্বোডিয়া ট্রাম্পকে শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেছিল। কিন্তু এ বার তিনি সরাসরি নরওয়ের কাছে দাবি তুললেন যে তিনি 'নোবেল পাওয়ার যোগ্য'।
তবে এ নিয়ে নোবেল কমিটি বা হোয়াইট হাউসের তরফে এখনও কোনও প্রতিক্রিয়া অসেনি। স্টলটেনবার্গ অবশ্য জানিয়েছেন, ফোনটি মূলত নরওয়ের প্রধানমন্ত্রী জোনাস স্টোরের সঙ্গে শুল্ক ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা নিয়ে আলোচনার প্রস্তুতির জন্য ছিল। এর বাইরে বিস্তারিতভাবে তিনি কিছু জানাননি। যদিও সূত্রের খবর, ট্রাম্পের দাবির পাল্টা শুল্ক রফার প্রাস্তাব দিয়েছে নরওয়ে।
আরও পড়ুন- পুতিনকে চাপে ফেলতেই ভারতের উপর অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ! খোলসা করে ফেললেন ট্রাম্প
বিশেষজ্ঞদের মতে, নিজের ঢাক নিজে কীভাবে পেটাতে হয় তা খুব ভাল করে জানেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই ভারত-পাকিস্তান থেকে শুরু করে ইজরায়েল-হামাস, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর চেষ্টার জন্য বারংবার নিজেকে 'বাহবা' দিচ্ছেন তিনি। এদিকে, রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত থামানো ইস্যুতে ট্রাম্পের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দাবি, তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে যুদ্ধবিরতি এবং পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণে আন্তরিক প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। পুতিনের মতে, এই প্রচেষ্টা বিশ্বে দীর্ঘস্থায়ী শান্তি আনতে পারে।
