আজকাল ওয়েবডেস্ক: সমুদ্রের জলে ভেসে বেড়াচ্ছে প্রচুর বাবল বা বুঁদবুঁদ। এগুলিকে প্রথমে সাধারণ বলেই মনে করা হয়েছিল। তবে পরে সেখান থেকে উঠে এল অন্য এক তথ্য।
কয়েক দশক ধরে সমুদ্র বিজ্ঞানীরা ধরে নিয়েছিলেন যে এই গোলাকার বাবলগুলি একটি রিম থেকে রিম পর্যন্ত বিস্তৃত। এগুলি প্রায় ১৬ ফুট গভীর কাদার মধ্য দিয়ে মিথেনের বুদবুদগুলি ফেটে যাওয়ার ফলে তৈরি ক্ষত। এই ব্যাখ্যাটি যখন সমুদ্রের ঢালের ১,৬০০ থেকে ৫,২০০ ফুট নীচের মহাদেশীয় ঢালের একই জায়গায় একটি অফশোর উইন্ড ফার্মের পরিকল্পনা করেছিল তখন ভ্রু কুঁচকে গিয়েছিল। যদি মিথেন এখনও লিক হতে থাকে, তাহলে কি টারবাইন সেখানে থাকতে পারে?
কৌতূহল তখন সামনে আসে যখন ৫,২০০ টিরও বেশি এমন গঠন, যা পকমার্ক নামে পরিচিত তার ভয়াবহ সামনে আসে।
এই বিতর্কের নিরসনের জন্য একটি দল উচ্চ প্রযুক্তির রোবট এবং সেন্সরের একটি পাহাড় তৈরি করেছিল এবং সমুদ্রতল কীভাবে শ্বাস নেয় সে সম্পর্কে একটি প্রিয় মিথকে উল্টো প্রমাণ করে দিয়েছিল।
এই কাজে একটি ডুবো জাহাজরে কাজে লাগানো হয়েছিল। জাহাজ যে মানচিত্রগুলিকে সামনে নিয়ে আসে যে বেশিরভাগ পকমার্কগুলি প্রায় নিখুঁতভাবে পৃথকভাবে অবস্থিত ছিল। সেখানে প্রতিটি বৃত্ত গড়ে ৬৫৬ ফুট প্রস্থের ছিল।
এই কাজটি করেছিল মন্টেরে বে অ্যাকোয়ারিয়াম রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ইউএস জিওলজিক্যাল সার্ভে এবং স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষজ্ঞরা। একটি অতিরিক্ত গর্তের বাইরে এমন কিছু তথ্য সামনে আসে যে সেখান থেকে মিথেনের কোনও গন্ধ, রাসায়নিক বা অ্যাকোস্টিক পাওয়া যায়নি।
এই গবেষণাটি রিসোর্স ম্যানেজার এবং অন্যান্যদের জন্য সমুদ্রতল সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবরাহ করে। জলের নিচের অবকাঠামোর জন্য অফশোর সাইট বিবেচনা করা হয়।
প্রতিটি কেন্দ্রে একটা সময়সীমার অস্থিরতা ছিল। সূক্ষ্ম কাদা সহস্রাব্দ ধরে চুপচাপ স্থির ছিল। তারপর এক টুকরো বালির আস্তরণ আছড়ে পড়ে যেটি একটি বিশাল জলের নিচের তুষারধসকে চিহ্নিত করে একে পলির মাধ্যাকর্ষণ প্রবাহ বলা হয়।
