আজকাল ওয়েবডেস্ক: পিউ রিসার্চ সেন্টারের এক সমীক্ষা অনুসারে, বর্তমানে ইসলাম বিশ্বের দ্রুত- বর্ধনশীল ধর্ম। বিশ্বব্যাপী মুসলিম জনসংখ্যা দ্রুত গতিতে বৃদ্ধি পাচ্ছে। মুসলিম জনসংখ্যা ২০৬০ সালের মধ্যে তিন বিলিয়ন ছুঁয়ে যাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে। মুসলিম জনসংখ্যার বেশিরভাগই মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলিতে কেন্দ্রীভূত। এই তালিকার শীর্ষে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া, তারপরে মধ্যপ্রাচ্য এবং উত্তর আফ্রিকা ছাড়াও পাকিস্তান, ভারত এবং বাংলাদেশ রয়েছে।
বিপুল সংখ্যক মুসলিম, অমুসলিম প্রধান দেশগুলিতেও বসবাস করে। এমন কয়েকটি দেশ রয়েছে যেখানে মুসলিমরা বিভিন্ন কারণে গুরুতর ধর্মীয় বৈষম্যের সম্মুখীন হয়, যার মধ্যে জাতিগত বৈশিষ্ট্য, সংস্কৃতি এবং ধর্মীয় অনুশীলন অন্তর্ভুক্ত কিন্তু সীমাবদ্ধ নয়। এখানে পাঁচটি দেশের কথা বলা হল, যেখানে মুসলিম জনসংখ্যার উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এমনকি তাদের মধ্যে বেশ কয়েকটিকে 'উদার গণতন্ত্র' হিসাবেও চিহ্নিত করা হয়।
ফ্রান্স: ফ্রান্স 'উদার গণতন্ত্র' রাষ্ট্র হিসেবে দাবি করে। সেখানে বেশিরভাগ ধর্ম, জাতি, সংস্কৃতিকে সমান নজরে দেখা হয়। কিন্তু ফরাসি কর্তৃপক্ষ মুসলমানদের উপর কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করেছে। যার মধ্যে রয়েছে স্কুল এবং সরকারি প্রতিষ্ঠানে হিজাব পরায় নিষেধাজ্ঞা। এছাড়া, জনসাধারণের জন্য ধর্মীয় প্রতীক প্রদর্শনের উপর সম্পূর্ণ নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
চীন: মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তানের 'বন্ধু' চীন, জিনজিয়াং অঞ্চলের জাতিগত-ধর্মীয় সংখ্যালঘু উইঘুর মুসলিমদের উপর অকথ্য অত্যাচার চালিয়েছে। মানবাধিকার গোষ্ঠীগুলির মতে, উইঘুরদের কোনও ধর্মীয় কার্যকলাপ করতে নিষেধ করা হয়েছে। এদের প্রায়শই জোর করেই আটক শিবিরে বন্দী করা হয়।
রাশিয়া: চীনের মিত্র রাশিয়া, তার মুসলিম জনসংখ্যার উপরও কঠোর, বিশেষ করে চেচনিয়া এবং অন্যান্য মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ অঞ্চলে মসজিদের সংখ্যা সীমিত করেছে। মুসলমানদের প্রায়শই লম্বা দাড়ি রাখা বা মাথার টুপি পরার জন্য চরমপন্থী হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।
ডেনমার্ক: আরেকটি 'উদার গণতন্ত্র'কামী রাষ্ট্র। ডেনমার্ক মুসলিমদের বোরখা নিষিদ্ধ করেছে। এ দেশের অনেক অতি-ডানপন্থী নেতা প্রায়শই ইসলামের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করেন, দেশের মুসলিম জনগোষ্ঠীকে বিচ্ছিন্ন করে দেন।
মায়ানমার: মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকার জাতিগতভাবে রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর ভয়াবহ অত্যাচার চালিয়েছে। লক্ষ লক্ষ মানুষকে হত্যা করেছে। তাদের দেশ থেকে বের করে ভারত-সহ নিকটবর্তী দেশগুলিতে আশ্রয় নিতে বাধ্য করিয়েছে। রাষ্ট্রসংঘ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে সংঘটিত হিংসাকে জাতিগত নির্মূল বলে অভিহিত করেছে।
