আজকাল ওয়েবডেস্ক: সৌরশক্তি একটি অসাধারণ শক্তি। একে ঠেকিয়ে রাখা প্রায় অসম্ভব। এর কাছে পৃথিবীর প্রচুর শক্তি কোনও কাজই করে না। আর এবার উঠে এল অবাক করা তথ্য।
 
 যারা সৌরজগত নিয়ে গবেষণা করেন তাদের হাতে এবার অন্য তথ্য চলে এল। এটি তাদেরকে বিস্মিত করেছে। এতদিন ধরে যারা পৃথিবীতে বসে সূর্যকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে তাদের কাছে এটি একটি বিরাট আবিষ্কার হতে পারে। মহাকাশে একটি স্পেস স্টেশন তৈরি করার চেষ্টা চলছে যেখান থেকে সরাসরি সূর্যের আলোকে তাপশক্তিতে রূপ দেওয়া যাবে। সেখান থেকে সরাসরি পৃথিবীতে এসে যাবে বিদ্যুতের তরঙ্গ। যদিও বিষয়টি অতটা সহজ নয় বলেই জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তবে জানা গিয়েছে পৃথিবীর বায়ুমন্ডলের উপর থেকে যদি সূর্যের আলো কাজে লাগিয়ে সেখান থেকে বিদ্যুৎ পৃথিবীতে পাঠানো যায় তাহলে যে শক্তি হাতে আসবে তা পরমানুর থেকেও ভয়ানক হতে পারে।
 
 নাসা ইতিমধ্যে এই সোলার স্পেস বেসড পাওয়ার নিয়ে কাজ করছে। যদিও এই কাজটি করে শেষ হবে সেবিষয়ে কিছু জানায়নি নাসা। তবে মনে করা হচ্ছে যদি দ্রুত হারে কাজ করা হয় তাহলে অতি সহজেই এই বিষয়ে সফলতা আসবে। পৃথিবীতে যেসব শক্তিকে কাজে লাগিয়ে বিদ্যুৎ তৈরি করা হয় সেদিকে জোর না দিয়ে যদি সৌরশক্তির বিদ্যুৎ দিয়ে কাজ করা হয় তাহলে সেটি হবে একটি বিরাট আবিষ্কার। 
 
 নাসা বিগত ১০০ বছর ধরে এই কাজটি করছে। তবে এখনও তারা সফলতার মুখ দেখেনি। প্রতিদিন তাদের সামনে নতুন করে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সেটিকে সমাধান করতে গিয়ে আরও বড় সমস্যা তৈরি হয়েছে। এই কাজটি করতে হলে পৃথিবী থেকে ৩৬০০০ কিলোমিটার উচ্চতায় সোলার প্যানেল বসানো হবে। সেখান থেকে সেটি ৫০০ কিলোমিটার উচ্চতায় থাকা স্যাটেলাইটে আসবে। এরপর সেই বিদ্যুৎ আসবে নির্দিষ্ট পাওয়ার স্টেশনে। 
 
 তবে এই কাজটি করতে গিয়ে সবথেকে বড় সমস্যা তৈরি করতে পারে সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রে বা অতি বেগুনি রশ্মি। কীভাবে সেটিকে মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে চিন্তায় বিজ্ঞানীরা। কারণ যদি এটি পৃথিবীতে চলে আসে তাহলে অ্যাসিড বৃষ্টি হবে। তখন সকলেই সমস্যায় পড়বেন।
