আজকাল ওয়েবডেস্ক: টানা বর্ষণে হড়পা বান। মুহূর্তে ছারখার হয়ে গিয়েছে চতুর্দিক। একে একে সামনে আসছে ভয়াবহ, শিউরে ওঠা সব দৃশ্য। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, উদ্ধারকারীরা মুখোমুখি হচ্ছেন ভয়াবহ সব দৃশ্যের। নদীর মাছ পচে যাচ্ছে ডাঙায়। মানুষের দেহ ঝুলছে গাছে গাছে।
শুক্রবার থেকেই আচমকা প্রবল বর্ষণ। তীব্র দাবদাহের পর তা স্বস্তির হলেও, টানা বর্ষণে বিপর্যস্ত টেক্সাসের বিস্তীর্ণ অঞ্চল। গুয়াদালুপে নদীতে হড়পা বান আসে আচমকা। ৪৫ মিনিটের মধ্যে আচমকা নদীর জলস্তর উঠে যায় প্রায় আট মিটার পর্যন্ত।
রবিবারেই জানা যায়, হড়পা বানের কবলে বহু পরিবার। গুয়াদালুপে নদীর ধারে তাঁবু খাটিয়ে সামার ক্যাম্প করছিলেন বেশকয়েকজন পড়ুয়া। তাঁদের মধ্যে খঁজ নেই অন্তত ২৭ জনের। হাহাকার, অপেক্ষা, খোঁজ প্রিয়জনদের। স্থানীয় সংবাদ মাধ্যম সূত্রে খবর, ভেসে যাওয়া জামাকাপড়, মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ম্যাপেল সিরাপ এবং সসের বোতল, ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে থাকা সামগ্রীর মাঝে দাঁড়িয়ে হাউহাউ করে কাঁদছেন অভিভাবকরা। খুঁজছেন কোথায় তাঁর সন্তান। বারবার বলছেন, ‘আমার মেয়ে এখানেই ছিল। এখানেই।‘ বন্যার সময় প্রায় সাতশ পড়ুয়া ওই ক্যাম্পে উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
রবিবারেই জানা গিয়েছে, ক্যাম্প মিস্টিকের ডাইনিং হলের একটি দেওয়াল, একটি বড় কাঠের কেবিন, বন্যার জলের তীব্রতায় সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়ে। যার ফলে দক্ষিণ-মধ্য টেক্সাসের কের কাউন্টি অঞ্চলে প্রায় ৩২ জন মারা যান। মাঝরাতের বন্যায় ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে বহু ঘরবাড়ি। ভোররাতের দিকে একাধিক বাড়ি বন্যার জলোচ্ছ্বাসের ধাক্কায় ভেঙে পড়ে। হাহাকার, বাঁচানোর আর্তনাদ, মৃত্যু মিছিল।
সোমবার জানা গিয়েছে, হড়পা বানে প্রাণ গিয়েছে অন্তত ৮০জনের। উদ্ধারকার্যের জন্য আকাশে উড়ছে বিমান, কাদা ভর্তি জায়গায় হন্যে হয়ে দেহ খুঁজছেন উদ্ধারকারীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এক জায়গায় প্রায় আট-দশ ফুট উঁচুতে গাছের ডালে উদ্ধার হয়েছে দেহ।
টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবটে জানিয়েছেন, ওই এলাকায় বন্যায় এখনও অন্তত ৪১ জনের কোনও খোঁজ মেলেনি। মধ্য টেক্সাসে, প্রায় ১৭টি হেলিকপ্টার নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজ চালাচ্ছে।
