আজকাল ওয়েবডেস্ক: ভারতের সামরিক ও বেসামরিক জায়গায় পাকিস্তানের হামলা ইসলামাবাদকেই বড় মাশুল গুনতে বাধ্য করতে পারে। কারণ, আজই (৯ মে) পাকিস্তানের ৭ বিলিয়ন ডলারের আইএমএফ বেলআউট প্যাকেজ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যালোচনা বৈঠক হচ্ছে।
ভারতের বিদেশ সচিব বিক্রম মিশ্রী জানিয়েছেন, পাকিস্তানের আগ্রাসী আচরণকে সামনে রেখে ভারত আইএমএফ বৈঠকে বিষয়টি উত্থাপন করবে। তিনি বলেন, “যারা পাকিস্তানকে বারবার অর্থসাহায্য করে আসছেন, তাদের কাছে পাকিস্তানের প্রকৃত রূপ স্পষ্ট হওয়া উচিত।”
পাকিস্তানের বৈদেশিক ঋণ ২০২৪ সালে দাঁড়ায় ১৩০ বিলিয়ন ডলারে। আইএমএফের মতে, দেশটি ১৯৫০ সাল থেকে ২৫ বার ঋণ নিয়েছে। বিশ্বব্যাংকও ৪৮ বিলিয়নের বেশি সাহায্য দিয়েছে। এর মধ্যেই ২০ বিলিয়ন ডলারের দীর্ঘমেয়াদি ঋণের জন্য জানুয়ারিতে পাকিস্তান বিশ্বব্যাংকের সঙ্গে একটি চুক্তি করে।
অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের মধ্যে থাকা পাকিস্তান এখন চীন, সৌদি আরব ও কাতারের মতো দেশ এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার অনুদানে টিকে আছে। অথচ এসময়েও পাকিস্তান তার ‘প্রিয় রপ্তানি’—সন্ত্রাসবাদে—মনোযোগ দিয়ে চলেছে। ২২ এপ্রিল পহেলগাঁও-এ পর্যটকদের উপর হামলায় ২৬ জন নিহত হন, যার জেরে ভারত ‘অপারেশন সিঁদুর’ চালায় এবং পরবর্তী হামলার বিরুদ্ধে কেবল জঙ্গি ঘাঁটিগুলিকে লক্ষ্য করে।
বিশ্বব্যাংকের সভাপতি অরুণ বাঙ্গা ৮ মে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং জানান, বিশ্বব্যাংক সিন্ধু জল চুক্তি নিয়ে হস্তক্ষেপ করবে না—যা ভারত বর্তমানে স্থগিত রেখেছে।
ভারতের দাবি, পাকিস্তান ইচ্ছাকৃতভাবে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছে, ফলে আইএমএফের কাছেও এখন তারা ‘আদর্শ ঋণ গ্রাহক’ হিসেবে বিবেচিত হতে পারছে না।
